অনলাইন ডেস্ক :
আর কোন কিছুতেই রক্ষা করতে না পারলে ডুবে তো যাবেই !সাথে সাথেই গুরুদয়াল গন হাতে তালি দিবে।আর তখনই যাত্রা আর গন্তব্য যেমনই হোক
শত যোগ্যতার মাঝেও প্রশ্ন আসবে পরাজয়ের। আর তা ব্যক্তির হলে হয় সবাই মিলে, না দেখে !না বুঝে !টানে আর ভাইরাল করে সমিষ্টির যুধিষ্ঠিদের!
নদীতে পানি কম ছিল ।যার কারনে কলসি চলে গিয়েছিল। কিন্ত হারায় নি।কিন্ত পানি বেশী হয়েছে কিনা জানিনা।এখন ঢেউ বেশী ।এবার কলসি তে ঢেউ লাগলে মুখ দিয়ে পানি ভরে ডুবে যাবে।তাই সাবধান ঢেউ যতই বেশী হোক,আবহাওয়া যতই দুর্যোগ পূর্ণ হোক কোন সুযোগ নেই কলসি বিসর্জন দেওয়ার।
আর কোন কিছুতেই রক্ষা করতে না পারলে ডুবে তো যাবেই !সাথে সাথেই গুরুদয়াল গন হাতে তালি দিবে।আর তখনই যাত্রা আর গন্তব্য যেমনই হোক
শত যোগ্যতার মাঝেও প্রশ্ন আসবে পরাজয়ের। আর তা ব্যক্তির হলে হয় সবাই মিলে, না দেখে !না বুঝে !টানে আর ভাইরাল করে সমিষ্টির যুধিষ্ঠিদের!
বড়ই দুঃসময়।পুলিশের কাছে সবাই আসে।আবার সুযোগ পেলে সবাই সমালোচনার গদ্য পদ্য লেখার প্রথম হওয়ার প্রতি যোগীতা। কিন্ত এমন গুরু দায়িত্ব। পালন করতে গেলে লালনের পা পিচলে গেলে কটু কথা শোনা ,সামাজিক মর্যাদা হারিয়ে এক দোষে চৌদ্দ গোষ্ঠী র সুনাম ভুলন্ঠিত। জেল তো আছেই।
সামনে আগুন, পিছনে অথৈ থৈ থৈ সমুদ্র। কোন দিকে গতি।গতির প্রগতি বুঝতে যে পেশাদারিত্ব লাগে তা সকলের আছে তবে দৃশ্যমান করতে ত্রাহি ত্রাহি। নিজের যোগ্যতার পরিমাপ যদি কাউকে ডিংগিয়ে যায় তাহলে আরেক বিপদ।বাদী বা বিবাদীর পক্ষে এক সময় যেতেই হয়।কোন না কোন কারনে অধিকাংশ মানুষ ই আইনের কাঠগড়ায় আসলে দোষটা দেয় পুলিশের ই।
স্ত্রী সন্তান ,বাবা মা দেখার সময় নেই।নিজ সমাজ এলাকার লোকজন কে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না ।যদি একবার খালে পড়ে তাহলে হ্যামিলনের বাশিওলার মত বের হয় পুলিশের বিরুদ্ধ গদ্য কার্টুন, ব্যাঙ্গ চিত্র। ফেসবুক ভাইরাল। সামাজিক ঘৃনায় এক মরন শেষ হয়।
পুলিশের মধ্যেই পুলিশের দেখা চলা কম।কর্মস্থল ভিন্ন। হাজারো আপন হলেও কিন্ত সহকর্মীর জানাজার জন্য কোনদিন ছুটি পাবে না।পেশাদারিত্ব ও প্রতিযোগিতার তালে হতে হয় একাকী এক সংগ্রামী।
নিজেদের পরিবারে অসহায় এক সমুদ্র। সময় আর সুযোগের অভাব ।অন্যের প্রতি কাজ করা র দায়িত্ব এ যেন নিজেকে সমার্পন। এই ত্যাগ, মহিমা কখন ই কোন নাগরিক কে খুশি করে না যার কারনে কোন ভূল বা পরিস্থিতির স্বীকার হলে পুলিশ কে সামাজিক অপদস্থ হতে রক্ষা করে।
বিশৃংখল সমাজ ব্যবস্থার স্থিতিশীল গতি বাড়াতে পুলিশের বিকল্প নেই।শাষন করতে গেলে ঘুরে ফিরে কেউ না কেউ পুলিশের নিকট জবাব দিতে বাধ্য। আর তাতেই সমাজ ও প্রভাব শালীর এক অংশ পুলিশ কে মনে মনে বকা দেওয়ার সুযোগ খোঁজে।
উপমহাদেশের পুলিশের অর্জন অনেক থাকলেও জনগনের একটি অংশ কেন যেন পুলিশের ভাল ভাবমূর্তি সহ্য সীমার মধ্যেই রাখে না।
এ ভাবনা থেকেই ব্যক্তির কারনে ,ব্যক্তির অপকর্মের দায় ভাইরাল করা হয় সমিষ্টির উপর। পুলিশ শব্দ টি বহুবচন হওয়ায় পুলিশের কোন পথচ্যুতি দেখলেই ভাইরাল হয়।
তাতে যে ঐ পুলিশের স্ত্রী,সন্তান,বাবা মা ভাই বোন সমাজের সামাজিকতায় মৃত প্রায় হয়ে যায়। সে খবর কেউ তো রাখেই না বরং হাত তালির পব্দ এত যে তার কম্পাংকে পুরো বাহিনীর উপর দোষ এসে পড়ে।ভাইরাস গুলো সমাজে এভাবেই মিশে আছে যে ভাইরাল করেই তাদের ভাবনা বাস্তবায়ন করে।
লেখক:
মোঃ ইমাউল হক পিপিএম ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার।