অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি বিধিনিষেধ শিথিলের মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য মহাসড়ক ও সড়কে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ এবং নৌপথে নৌপুলিশকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় আইজিপি এই নির্দেশনা দেন। ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।
সোহেল রানা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
সড়ক ও নৌপথে পশুবাহী ট্রাক বা লঞ্চে নির্দিষ্ট হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টানানো এবং এক হাটের পশুবাহী গাড়ি অন্য হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হাট কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন পুলিশপ্রধান। এ সময় বর্তমান অতিমারিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোরও অনুরোধ জানান আইজিপি।
দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন আইজিপি। ঈদের ছুটিতে চুরি, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশি টহল এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেন আইজিপি। এ প্রসঙ্গে, চৌকিদারি ব্যবস্থাকেও কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিতে বলেন আইজিপি।
পুলিশপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জঙ্গি ও উগ্রপন্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের যেকোনো তৎপরতা রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ পুলিশি কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্য মাধ্যমে কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিগণ, সংশ্লিষ্ট ডিআইজিগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।