নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকার গোপন করছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে।
আজ রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। এর আগে, শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়গুলোই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ঢাকার সব হাসপাতালে সার্কুলার জারি করেছেন যে, কোনো চিকিৎসক করোনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য কোনো সাংবাদিক, কোনো ব্যক্তি কিংবা সংস্থাকে অনুমতি ব্যাতিরেকে প্রদান করতে পারবে না। অর্থাৎ তারা যা প্রকাশ করতে চান তা-ই গণমাধ্যম বা ব্যক্তি জানতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত মুক্ত তথ্য নীতির বিরোধী। এই নির্দেশ প্রমাণ করে সরকার প্রকৃত তথ্য গোপন করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলন থেকেই এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনা নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারির প্রস্তাবনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় কারফিউ কোনো সমাধান নয়। এমনকি চলমান লকডাউনও সমাধান নয়। দরিদ্র মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিলে লকডাউন দিলে তা কাজে আসবে না। তিনি বলেন, ধমক দিয়ে গরিব মানুষকে জেলে পুরলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের খাবার সরবরাহে অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি তানভীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ঠিকাদার স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের আত্মীয়। সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে গণমাধ্যমের তথ্য প্রচারের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইসিইউ নেই, বেড নেই। সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই করোনা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।