আজ || বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম :
  দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরামের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ       দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       দাগনভূঞায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের বিচার, ইসলামীক ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ       নিখোঁজ মো: সাহাদাত হোসেনের সন্ধান চায় তার পরিবার       বাহরাইনে দাওরায়ে তাফসীরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চলবে পুরো রমজান মাস ধরে       বাহরাইনের রাজার কাছে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এর পরিচয় পত্র পেশ:       বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন       যুক্তরাজ্য কৃষক দল শাখার সদস্য সচিব শাহ মো. ইব্রাহিম বাহরাইন আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান       বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদা দিলেন ড. ইউনূস: বললেন ইলন মাস্ক    
 


কোতোয়ালের আভিজাত্য মাতৃভুমির কোলে: ইমাউল হক পিপিএম

উত্তরণ অনলাইন

মহান সুলতানদের সময়ে একটি সরকারী পুলিশি স্তর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে ও পাওয়া যেতে পারে।

মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত, মহান সম্রাট আকবরের সময়কালে এই ব্যবস্থা আরও সংগঠিত হয়। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো (সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি) মীর আদাল এবং কাজী (বিচার বিভাগ প্রধান) এবং কোতোয়াল (প্রধান বড় শহরে পুলিশ কর্মকর্তা) এই তিন ভাগে ভাগ করেন।

এই ব্যবস্থা শহরের আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর হিসাবে পরিগনিত হয়। কোতোয়ালী পুলিশ ব্যবস্থা ঢাকা শহরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেক জেলা সদর পুলিশ স্টেশনকে এখনও বলা হয় কোতোয়ালী থানা। মোঘল আমলে কোতোয়াল একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আবির্ভূত হয়।একজন ফৌজদার সরকারের প্রশাসনিক ইউনিট (জেলা) প্রধান পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিছু ফৌজদারের অধীনে কামান এবং অশ্বারোহী সৈন্য বাহিনীও ছিল।

থানাদার পদাধী কারীরা ছোট জায়গার মধ্যে পরগনা বিভাজক হিসাবে নিযুক্ত হতেন। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়ে এখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল। এখনও কিন্তু কোতোয়ালি থানা অনেক আছে।একটি ঐতিহাসিক বাহিনীর আদর্শ, ফান্ডামেন্টাল ডিমান্ড,কাপচারিং পাওয়ার,থাকে।তাই কিন্তু ঐ বাহিনীর সবাই লালন,ধারন,চর্চা,করে।সেখানে ব্যক্তির আদর্শ যেমন কার্যকর নয় তেমনি ব্যক্তির খারাপ কাজ ও নিতান্তই একার এবং দায়ভার ঐ ব্যক্তি বা মহলের।

অনেক সময় কতিপয় পুলিশ কয়েকটি অনৈতিক কাজ করে।তারা কিন্তু শাস্তির আওতায় আসে ।কিন্তু তাদের কে দেখে সব পুলিশ কে বিচার করা যাবে না। আর শুরু থেকেই এ বাহিনীর কাজ আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা কে পাকা করা । পুলিশ কিন্তু তাই করছে।

পুলিশের একটি ইউনিফর্ম আছে।সেটির কারনে রাস্তায় মানুষের মাঝে বেশি দৃশ্যমান দেখা যায়।তাই শিরোনাম যেমন হয়,শিরোনামনামহীন হওয়ার দাবী ও আছে।
বার বার এ দেশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে পুলিশ।এজন্য মরেছে অনেক বার,অনেক সংখ্যায়।সে তুলনায় জনগনের ধন্যবাদে জেগে উঠেছে অনেক কম।
দেশের জন্য এখনও প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ পুলিশ।শৃংখলার সমান তাল করতে প্রস্তুত জন চিতায় মরতে।

কিন্তু নাগরিকদের বুকে হতে হবে বার বার জন্ম।দেশকে ভালবাসে যে একতা, নিষ্ঠার আর শৃংখলার প্রমাণ যুগ যুগ ধরে দিচ্ছে তা অন্য কোন দেশের পুলিশ বাহিনীতে অনেক কম। ব্যক্তি মরে বাহিনীর মর্যাদা রক্ষা করার বীর পুলিশ বাহিনীতে এককাট্টা,অসংখ্য।তাই দেশের মাটির জন্য ,দেশের জন্য,এ বাহিনীর লেখচিত্র অতি ধনাত্তক ।

দেশপ্রেমের প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতি।জনতার, গন মানুষের, সমাজ, পরিবারের, নিরাপত্তায় জীবন দান মুহুর্তের ব্যাপার।বাংলাদেশ পুলিশ নাগরিকদের জন্য জীবন দানে তৈরী আছে। জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে।

 

লেখক:
ইমাউল হক পিপিএম ইনটেলিজেন্স ইন্সপেক্টর ১৪ এপিবিএন কক্সবাজার


Top