অনলাইন ডেস্ক:
যত যাই হোক মরারাই বার বার মরে ।আর যার মরে সেই বোঝে, যার যায় পুরো টাই যায়। এ রকম কত ঢেউ যে পার করেছি আর করছি তা সাগরের মতোই অগনিত।
সে না হয় হল কিন্তু আতংকিত হলাম সামনে যে কত ঢেউ আছে ।আর তা সামলাতে পারব কিনা ?কিনারায় ঢেউ কে শেষ করতে পারব কিনা বা কিনারা পর্যন্ত ঢেউ নিতে পারব কিনা?নাকি আমার ঢেউ অন্য সবাই দৃশ্য 'র মত দেখবে ?
কবিতা শুনতে ভাল লাগে না।গল্প শোনার মনোযোগ নেই।উপন্যাস পড়ার ধৈর্য নেই।ব্লগে লেখা র সময় নেই ।ফেসবুক এ লিখলে পাঠক নেই!
কি করি ।সরকারী চাকুরি করি ।এখন যে ডিউটি খুবই সাবধানে করতে হয়। করোনা আক্রান্ত হচ্ছে অনেকই।পুলিশের কাজ বেশী তাই সংস্পর্শ বেশী ।তাই করোনা হাতে হাতে বদলানোর সুযোগ পায়। যদিও সবই আল্লাহ্ ভরসা।
সময় মত খাওয়া কষ্ট। তার চেয়ে আরও কষ্ট ভাল খাওয়া। বাজার করে একজন ,বাবুর্চিখানার রান্না যা হয় তাই মারহাবা।
সেই খাবার খেতে বসলে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে বাবা মা স্ত্রী র কথা মনে পড়ে। কে কি খাচ্ছে আর আমি কি খাই।
বার বার মনে পড়ে আর ভিডিও কলে দেখতে দেখতে বাস্তবে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে ।যেতে গেলে ছুটি পাওয়া কষ্ট। তার চেয়ে কষ্ট যাওয়া আসা। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া র মত।
আবার চাচা মামা খালু বন্ধু বান্ধব দের সাথে যোগাযোগ। ফোন ধরার মন ও সময় কই।এখন অনেক অফিস বন্ধ। লোকজন কম ।কিন্তু এখনই যদি পুলিশের কাজ বেশী হয় তাহলে সারা বছর!
আর কাজ করে কখনও সন্তুষ্ট করা যায় না।একদিন করলে পরের দিনের টা অগ্রিম ঘোষণা। মেশিনের মত ।
রিপোর্ট লিখলে ,যেমন বানান দেখতে হয়।ভাষার মিল ,তথ্যের সমন্বয়। সব কিছু ঠিক হলে তখন বলে কালকে আরো একটা রিপোর্ট। এমন ই আরকি?
চাকরি মানেই এমন ।সত্যিই চাকুরি মানে আদেশ পালন।এক কথায় যখন যা বলবে তাই ।সারা পৃথিবীতেই এক ব্যবস্থা।এক সময় কারো ভাল লাগে না বলে অবসর এর ব্যবস্থা। তাছাড়া মানুষ সুস্থ থাকলে আবার অবসর কি?
চাকরি তো ইচ্ছে মত কেউ করতে পারে না ।ভাল পারলে, ভাল জায়গায় নাও থাকতে পারে ।কারন ভালোর পরিমাণ যে হাজার হাজার।
আপন যোগ্যতা ও চাহিদা মত চাকুরি কেউ করে না পারে না কারন তাহলে তো আপনিই মালিক হলেন।
আর এখন তো বিপদ ।পোস্টিং হলে তো স্হান পরিবর্তন। সে করতে যদি করোনা আক্রান্ত হয়।
সব কিছুতেই করোনা র ভয়।মরার ভয় ।ভবিষ্যত পরিকল্পনা তো দুরে থাক ।তার চেয়ে চিন্তা এক ঘন্টা তো সংস্পর্শ ছাড়া থাকি ।বেঁচে থাকার ইচ্ছা কার নেই?আল্লাহ্ ই সব ।তার পরও সাবধান।
যত যাই হোক মরারাই বার বার মরে ।আর যার মরে সেই বোঝে, যার যায় পুরো টাই যায়।
এত সংকটে এক ফাঁকে ছিলাম সমুদ্র সৈকতে। সাগরের বাতাস ,পানি কত মনোরম দৃশ্য আর শব্দ। সে মন মাতানো ঢেউ আসে ।শুধু ই আসে উল্টো দিকে ঢেউ যায় না।কিনারায় শেষ!
কক্সবাজার সাগর আবার রোমান্টিক। জোয়ার ভাটায় সমান তারে ঢেউ!
সে ঢেউ দেখতে যেয়ে চিন্তা হল।এ রকম কত ঢেউ যে পার করেছি আর করছি তা সাগরের মতোই অগনিত। সে না হয় হল কিন্তু আতংকিত হলাম সামনে যে কত ঢেউ আছে ।আর তা সামলাতে পারব কিনা ?কিনারায় ঢেউ কে শেষ করতে পারব কিনা বা কিনারা পর্যন্ত ঢেউ নিতে পারব কিনা?নাকি আমার ঢেউ অন্য সবাই
দৃশ্য'র মত দেখবে ??
মন ভাল করতে ঢেউ দেখতে যেয়ে আরো বিপদ হল কি না? পাঠকের মনে কি ঢেউ কিছু বলে না?
মোঃ ইমাউল হক পিপিএম ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার
সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া নির্বাহী সম্পাদকঃ মো.স্বপন মজুমদার বার্তা সম্পাদক এম.এ তাহের অফিস ১৯৫ ফকিরাপুল প্রথম গলি রহমান ম্যানশন (৩য় তলা) মতিঝিল ঢাকা ১০০০ এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর মুখপএ যোগাযোগ ও নিউজ এর জন্য ইমেল uttaron24@gmail.com সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০৭- ২০২০ দৈনিক উত্তরণ এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ. তথ্য.ছবি কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
zahidit.com