বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী আদালতের সেরেস্তাদার ফেনী জেলার দাগনভুঞাঁ উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের ওলী মোহাম্মদ ভূঞা বাড়ীর নুর ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর দূর্নীতির মামলায় জেলখেটে জামিনে এলেও বর্তমানে সাসপেন্সনে আছে।
আর এর মাঝে সে ফেনীর দাগনভুঞাঁ উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগ হতে ফরম ক্রয় করেন।
অথচ সরকারী চাকুরীজীবি যে পদেই হোকনা কেন,সাসপেন্সনে থাকাকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত চাকুরীস্থল ত্যাগ করতে পারেনা।আর এসময়ে চাকুরী ছাড়তে কোনমতেই পারেনা।
আবার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত অলাভজনক বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানেও (যেখানে কোন বেতন,ভাতা নেই যেমন স্কুল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি) নির্বাচন করতে পারেনা,লাভজনক প্রতিষ্ঠানে চিন্তাই করা যাবেনা।
আবার সরকারী চাকুরে চাকুরী হতে ইস্তফা (যারা সাসপেন্স নহে তারা) দেওয়ার পরও নিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত স্থানীয় বা জাতীয় (ইউনিয়ন,পৌরসভা,সিটি কর্পোরেশান, জাতীয় সংসদ)নির্বাচনে অংশগ্রহন বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অযোগ্য এবং
যদি কেউ তথ্য গোপন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যায় এবং কেউ নজরে আনলে বাছাইতে কিংবা নির্বাচনের পূর্বে বা নির্বাচিত হয়ে গেলেও যেকোন সময়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বা নির্বাচন কমিশন সে ব্যাক্তির প্রার্থীতা, কিংবা নির্বাচিত হলে পদবী বাতিল করে দিবেন।
বাতিলের সাথে সাথে তথ্যগোপনসহ সরকারী অর্থ অপচয় (নির্বাচনীয় খরচ,কর্মঘন্টা নস্টকরনসহ বিবিধ) বিষয়ে ওই ব্যাক্তির বিরুদ্বে মামলা আনয়ন করতে পারে,যার পরিনামও জেলজরিমানা পর্যন্ত যেতে পারে।
বিধি’র ব্যাতিক্রম করলে সরকারী চাকুরেকে (এটু জেড়) ১৯৮৫,১৯৮৯ কর্মচারী বিধিমালা অনুসারে সাজাভোগ করতে হবে, সেটা জেলজরিমানাও হতে পারে।
আর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত সাসপেন্সনে থাকা সরকারী চাকুরে কর্মস্থল ত্যাগ করলেও সাজায় পড়বেন বা সাজা হিসেবে সাসপেন্সন বাড়তে পারে।
সাসপেন্সে থাকা একজন সরকারী কর্মচারী যেখানে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন সেখানে এই আলমগীর কি ক্ষমতাবলে দীর্ঘসময় এলাকায় অবস্থান করে।
অন্য একটি সুত্র জানায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে কারন চাকুরীরত (সাসপেন্স হতে ডিসমিস না হলে এ সময়ও চাকুরীর অংশ)কোন ব্যাক্তি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার অযোগ্য।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একনেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,মোহাঃ আলমগীর ফরম গ্রহন করার সময় সরকারী চাকুরে এবং দূর্নীতির মামলায় সাসপেন্সশনে আছে এতথ্য গোপন করেছে।যদিও মাতুভুঞা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে এখনও মনোনয়ন ঘোষনা করা হয়নি সুতরাং বিষয়টি বিব্রতকর হলে নজরে থাকবে।
এবিষয়ে মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও বলেন, মনোনয়ন নিশ্চিত হলে চাকুরী ইস্তফা দিবেন। যেহেতু দূর্নীতি কমিশনের মামলায় জেলে যাওয়ার কারনে চাকুরী হতে সাসপেন্সশন এবং স্ববিভাগীয় মামলা নহে সেখানে দূর্নীতির মামলাটিতে নির্দোষ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত আপনার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষেও সাসপেন্সেশন প্রত্যাহার সম্ভব নহে সেক্ষেত্রে সাসপেন্সশনে থাকা অবস্থায় ইস্তফা দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলেন।
আবার এতসব জানার পরেও কিভাবে সাথে নিয়ে পাশাপাশি বাড়ীর এই আলমগীরকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে দিলেন এবং দলের সুনামক্ষুন্ন করালেন প্রশ্ন করা হলে দাগনভুঞা উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন মুন্সিও পরে জানাবেন বলেন। চাকুরে আলমগীয় নির্বাচন করে কি ভাবে।