আজ || মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন       যুক্তরাজ্য কৃষক দল শাখার সদস্য সচিব শাহ মো. ইব্রাহিম বাহরাইন আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান       বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদা দিলেন ড. ইউনূস: বললেন ইলন মাস্ক       বাহরাইনে আল জিয়ানী সেন্টারের উদ্যোগে ১০তম তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত       ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়ায় মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় নিহত ৬,আহত-৯       ফেনীর দাগনভূঞায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল ও কৃষক সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু       ফেনীর দাগনভূঞায় সিদীপ’র উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প       আলোকিত বাতশিরি জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বিনামূল্যে মক্তব শিক্ষার উদ্বোধন       ফেনী ইউনিভার্সিটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত       ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ    
 


নারী চিকিৎসকের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানো: সেই ম্যাজিস্ট্রেট বদলি

লকডাউনের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানো সেই সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

উল্লেখ্য, লকডাউনের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডে দায়িত্বরত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক নারী চিকিৎসকের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ ওই নারী চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে এ বাদানুবাদ হয়।

সেই নারী চিকিৎসক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি।

আর নিউমার্কেট থানা পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মামুনুর রশিদ।

১৮ এপ্রিল এলিফ্যান্ড রোডে পুলিশ চেকপোস্টে ওই নারীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে উঠেন তিনি। পুলিশের কাছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন। হুমকি দেন চাকরি হারানোর। এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার নমনীয়ভাবে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু ওই নারী তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের ৫ম দিন রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এলিফ্যান্ড রোডে ওই চিকিৎসকের গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। এতে ওই চিকিৎসক ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তুই-তুকারি করতে থাকেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করা ওই নারী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার।

এসময় পুলিশও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে ওই চিকিৎককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার মতো অনেক পাপিয়া দেখেছি।

৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, ‘করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’

এরপরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেনো?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশও বলে, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ‘আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’ এর পরে নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক।

তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বারবার বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।’

‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা।’ এরপরই এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে তার ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য।

এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়।

 


Top