বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের পারিবারিক কলহের জেরে ছায়েরা খাতুন প্রকাশ রেখা (৩৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননীকে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করেছে ঘাতক শশুর আবদুল মান্নান (৭০)।
ওই ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৮ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউপির ইটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের নতুন বাড়িতে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক শশুড় আবদুল মন্নান পলাতক রয়েছে।
নিহত ছায়রা খাতুন প্রকাশ রেখা কুয়েত প্রবাসী মোঃ বাবুলের স্ত্রী ও একই উপজেলার ৫নং অজুনতলা ইউপির মানিকপুর গ্রামের কালাজি ব্যাপারী বাড়ির মোঃ হানিফের মেয়ে। নিহত রেখার বিবি আমেনা (১৬), সাইফুল ইসলাম প্রকাশ শাওন (১৪) ও জাফর ইসলাম (১১) নামের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স রোববার দুপুরে ঘটনাস্থালে পৌছে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো একটি চোরা উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ঘাতক আবদুল মান্নানকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনী পুলিশ।
জানাগেছে বিগত ১৮ বছর আগে উপজেলা ৫ নং অজুনতলা ইউনিয়ন মানিকপুর গ্রামের কালাজি ব্যাপারী বাড়ির মোঃ হানিফের মেয়ে রেখার সঙ্গে ইটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোঃ বাবুলে সঙ্গে রেখার বিবাহ হয়। বিগত ২মাস আগে আবদুল মান্নান নতুন বাড়িতে এসে পুত্রবধূ সহ বসবাস শুরু করে।
নিহতের ছেলে জাফর ইসলাম জানায় নতুন বাড়িতে আসার পর থেকে তার দাদা আবদুল মান্নান বিভিন্ন অজুহাতে তার মা রেখার সঙ্গে জড়গা বিবাদ শুরু করে এবং তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। রোববার তারা ভাই বোন মাদরাসায় চলে গেলে এই সুযোগে তাদের দাদা আবদুল মান্নান তার মাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক আবদুল মান্নানকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। এবং থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।