বিশেষ প্রতিবেদক:
ফেনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ফেসবুকে ওই ভিড়িও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৪ বছর ধরে অবৈধ মেলামেশায় বাধ্য করার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন (৩০) জেলার দাগনভূঞাঁ উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে রবিবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,উত্তর আলীপুর এলাকার জসিম উদ্দিন দুলালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে।
ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় এমনকি দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে গত চার বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিল সে।
দুই সন্তানের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই নারীর। নানা অজুহাতে বেশ কয়েকবার মারধর করা হয় তাকে।
গত দুই মাস আগে প্রবাসফেরত স্বামীর কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পরে বাধ্য হয়ে স্বামী ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘ঘরে আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। একদিন দেলোয়ার ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেও পারিনি। ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় ও পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে মারধর করত।
সম্প্রতি আমর স্বামী দেশে আসলে আবারও উৎপাত শুরু করলে বিষয়টি স্বামীকে জানাই। রাতের বেলায় ঘরের আশপাশে দেলোয়ার ঘোরাফেরা করে।
এক পর্যায়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে মোবাইল ফোনে স্বামীকে মেরে আমাকে বিধবা করার হুমকি দেয়।
ওই নারীর প্রবাসফেরত স্বামী জানান, রাতের বেলায় কয়েকবার তাকে ধাওয়া করেছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার আমাকে জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দাগনভূঞাঁ থানার ওসি মো. হাসান ইমাম ধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।