ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীতে মুক্তিপণের ১২ লাখ টাকা না পেয়ে আহনাফ আল মাঈন নাশিত (১০) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করে স্কুল ব্যাগে লাশ গুম করেছে অপহরণকারীরা। তারা শিশু আহনাফের ভাইয়ের বন্ধু বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো- আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাত (২০)।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ এলাকার একটি ডোবা থেকে আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু আহনাফ ফেনী একাডেমি এলাকার বাসিন্দা ফেনী রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন সোহাগের ছেলে।
বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা যায়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আহনাফ নাশিত গত ৮ ডিসেম্বর সহপাঠীদের সঙ্গে ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কে প্রাইভেট পড়তে যায়।
প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে আহনাফ নাশিতের বড় ভাই নিশাতের বন্ধু তুষার তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শহরের বারাইপুর এলাকায় নিয়ে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভিকটিমের পিতা মাঈন উদ্দিনের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
মাঈন উদ্দিনের কাছে একটি নম্বর থেকে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে অন্যতম আসামি আশরাফ হোসেন তুষারকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ থেকে আহনাফ নাশিতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ও ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে আহনাফ নাশিতের বাবা মাঈন উদ্দিন সোহাগ ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া নির্বাহী সম্পাদকঃ মো.স্বপন মজুমদার বার্তা সম্পাদক এম.এ তাহের অফিস ১৯৫ ফকিরাপুল প্রথম গলি রহমান ম্যানশন (৩য় তলা) মতিঝিল ঢাকা ১০০০ এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর মুখপএ যোগাযোগ ও নিউজ এর জন্য ইমেল uttaron24@gmail.com সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০৭- ২০২০ দৈনিক উত্তরণ এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ. তথ্য.ছবি কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
zahidit.com