আবদুল্লাহ আল মামুন:
মান সম্মত গোখাদ্য সরাবরাহের মাধ্যমে দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় খামারীদের মাঝে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে “প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প”এর আওতায় দাগনভূঞা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সাইলেজ প্রযুক্তি বিতরণ করে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কান্তি শর্মা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম.আজহারুল ইসলাম।
এসময় দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন,প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, উপজেলা ডেইরী ফার্মাস এসোসিয়েশনের সভাপতি আলা উদ্দিন আলো, সহ সভাপতি আবু হায়দার পলিন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের তুহিন। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যরা ও সুফলভোগীরাসহ অত্র দপ্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘাস চপার মেশিন দ্বারা অটোমেটিক খড়, কাঁচা ঘাস কাটা যায়। উপজেলার ১০জন খামারীদের মাঝে সাইলেজ তৈরির উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। ৬ জন পিজি সদস্যের মাঝে ঘাস চপার মেশিন (ঘাস কাটার যন্ত্র) ৫টি, সাইলেজ ড্রাম ২০টি, পানির ঝর্ণা-১০টি, বালতি-১০টি, ছোট মগ-১০টি ও ৯০ কেজি চিটাগুড় বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কান্তি শর্মা জানান, ঘাস থেকে সাইলেজ তৈরি করে ঘাসের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। যার ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শুষ্ক মৌসুমেও গবাদিপশুর পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ সম্ভব হবে। সাইলেজের সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দানাদার খাদ্য খরচ কমিয়ে খামারীর লাভ নিশ্চিত করতে এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উপজেলার খামারীদেরকে সাইলেজ তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।