আবদুল্লাহ আল মামুন:
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১২ জন খামারিদের মাঝে গোখাদ্য বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অব দি ইউনাইটেড ন্যাশনস এর অর্থায়নে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসব গোখাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কান্তি শর্মা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মোজাম্মেল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ডেইরী ফার্মাস এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা নজরুল হক লিটন, সভাপতি আলা উদ্দিন আলো, সহ সভাপতি আবু হায়দার পলিন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের তুহিন, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা যুবদলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হুদন প্রমুখ। এসময় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল হক, মাঠ সহকারী মোঃ ইকবাল হোসেনসহ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কান্তি শর্মা জানান, উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১২ জন খামারিদের মাঝে গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিজন খামারিকে ৭৫ কেজি (৩ বস্তা) গোখাদ্য দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পরবর্তীতে আরও গো-খাদ্য সহায়তা প্রদানের কথা জানান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, গবাদি-পশুর প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টির যোগান বাড়াতে ঘাস গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য। তাই গো-খাদ্যের অর্থনৈতিক চাপ কমানো ও গবাদি পশুর প্রাকৃতির পুষ্টি বাড়াতে বিভিন্ন জাতের ঘাস লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন,
বর্তমান সময়ে গবাদিপশুর উৎপাদন খরচের অধিকাংশ খাদ্যের ব্যয় মিটাতে যায়। এতে খামারিদের লাভের পরিমাণ কমে যায় তাই ঘাস চাষে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।