সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের চারটি গ্রাম- জামশেদপুর, ধলীপাড়া, মাখরগাঁও এবং আমতৈল মিলে বৃহত্তর আমতৈল গ্রাম নামে পরিচিত। আমতৈল গ্রামে প্রতিবন্ধিতার হার সিলেটের সামগ্রিক হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মানবিক এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আনেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আমলে নেন। তিনি রামপাশা ইউনিয়নের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীকে জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবারের জন্য একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি বরাদ্দের জন্য ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন।
মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, আমতৈল গ্রামের বর্তমান প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেগুলো হল- ১. গ্রামের সব প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনতে হবে।
২. সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা।
৩. নিজ বাসস্থানসহ আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
৪. খাদ্যের সব পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা।
৫. গ্রামে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।
৬. প্রতিবন্ধীদের চাহিদা মোতাবেক বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা।
৭. চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন- হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।