মো.স্বপন মজুমদার
বাহরাইনে নানা আয়োজনে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ৭৪ তম জন্মদিন পালিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪’তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাহরাইন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর আয়োজনে আলোচনা সভা,কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় দেশটির রাজধানী মানামায় বাংলাদেশ সমাজের কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মনজুর আহমদের সভাপতিত্বে
ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিনের পরিচালনায়
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বাবু দুলাল দাস।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কালাম দেওয়ান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকলীগের সভাপতি অভিনাশ পাল।
বাংলাদেশ সমাজের আজীবন সদস্য আব্দুস সত্তার।
বৃহত্তর ফরিদপুর জনকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সেলিম দড়ি।
শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দেব।
শ্রমিক লীগ এর প্রচার সম্পাদক রাজু সিকদার।
আওয়ামী লীগ সদস্য শাহিন সিকদার সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন ১৯৪৭ সালের (২৮ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মুজিবের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার।
দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গোটা পরিবারকেই হারিয়েছেন তিনি। ছোটো বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
বক্তারা আরও বলেন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা চালায় ঘাতক চক্র।
শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করেও ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন তাঁর শ্রবণশক্তি চিরদিনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাজনীতির পথচলায় নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা এবং মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।