আজ || সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  জনবান্ধব ও পেশাদার ওসি’র আরেক নাম, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান       যত দ্রুত নির্বাচন দেবেন, জাতির জন্য তা মঙ্গল,ফেনীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর       বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম বাহরাইনের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       ফেনীতে আনসার-ভিডিপি’র তিন অফিসারের বিদায় সংবর্ধনা       ফেনীতে সোয়া কোটি টাকার স্বর্নের ১০টি বারসহ গ্রেফতার ১       ফেনী ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আইন বিভাগের জয়       ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঁঞার ৩নং পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত       কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ তিনজন আটক       নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্র ইমাম হোসেন নয়ন এর সন্ধান চায় পরিবার    
 


মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধকরণে অনিয়ম হলেই ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা

মো.মেহেদী হাসান

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধকরণে অনিয়ম হলেই ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা

মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৬ ই নভেম্বর ২০২০ থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। রিকেলিব্রেশন নামের এই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক বৈধকরণ নিবন্ধনে সরকার আগের মতো কোনো তৃতীয় পক্ষ বা এজেন্ট নিয়োগ করেনি। সে ক্ষেত্রে এবার সরাসরি দেশটির শ্রম ও মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। যদি কোনো তৃতীয় পক্ষ, এজেন্ট বা দালাল শ্রমিকদের সঙ্গে কোনোরকম প্রতারণা করে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (কেএসএম) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা করা হলে দেশটির বেসরকারি কর্মসংস্থান জাতীয় সংবিধান ১৯৮১ সালের ২৪৬ এর ৭ ধারায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে গত ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসী কর্মী রি-হায়ারিং (পুনঃনিয়োগ) প্রকল্প পরিচালিত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে দালাল ও এজেন্টদের কাছে টাকা ও পাসপোর্ট দিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন। এই প্রতারণার বিষয়টি দেশটির সরকার ও দূতাবাসে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ প্রতারক চক্র অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট গ্রহনের সময় কোন প্রকার টাকা জমা রসিদ বা কোনো ডকুমেন্টস তারা প্রদান করেন নাই।


Top