নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রীয় উপাদান; সরকার, সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড, জনসমষ্টি। অনেক জায়গাতেই রাষ্ট্র থাকতে পারে সরকার ছাড়া, সার্বভৌমত্ব ছাড়া, ভূখণ্ড ছাড়া। কিন্তু মানব ছাড়া কোন রাষ্ট্র নাই, ছিল না, হবে না।
মানবকে তার মত চলতে দিলে চলার লাগামও ধরতে লাগবে অন্য মানবদের। লাগবে প্রহরী, গাইড। লাগবে বিধির বিধিমালা ধরে রাখার জন্য মানব, মানবের সমষ্টি। এভাবেই রাষ্ট্র আবিষ্কার করেছে কোতোয়াল, পুলিশ।পুলিশ সৃষ্টির ইতিহাস সে আরও ৫০০ পাতা পুস্তকের।সে গুলো না বলি।
সকল বিভাগই দরকার রাষ্ট্রের সাজ সৌন্দর্যের জন্য। দ্বিমত নাই। চার ধাপ পার হলে পরবর্তী ধাপে রাষ্ট্রের দরকার পুলিশকে।
এটি আমার মতে ৫ম মার্ক লাইন। আমি সে লাইনের একজন অধম মার্কার। A country may go several days without food, But not for a days even minutes without law n order system (police.) এটা এই মুহূর্তে কল্পনা করলেও বাস্তবতা বুঝা যাবে।
পুলিশ!
অনেক দিন না খেয়ে, পরিবার অসুস্থ রেখে, ঝড়ে নিজের বাড়ি উড়ে যাওয়ার খবর শুনে, মা বাবার হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে, সন্তানের অসুস্থতায় মাথায় পানি না ঢেলে, স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা কানে নিয়ে অস্ত্র ধরে সন্ত্রাসীর দিকে, বাড়ি পাহারা দিয়েছে ক্ষুদার জ্বালা নিয়ে, অন্যের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছে সারারাত।
বিবাহের দিন জামাই সেজে ডিউটি করেছে আরেক জনের বিবাহের নিরাপত্তায়। আত্মীয়ের জানাযার সময় সুরৎহাল করেছে অনেক দিন। নিজের সন্তানকে স্কুলে নেওয়ার সময় অন্যের সন্তানের স্কুলের গেটে নিরাপত্তা ডিউটি। নিজে না খেয়ে অন্যের খাবারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল বহু দুপুর, বহু ডিনার, বহু নাসতার সকাল। এমনি কত রাত-দিন সময়।
এখনও বাদীর পক্ষে গেলে আসামি, আসামির পক্ষে গেলে বাদী, রহিমের পক্ষে গেলে করিম, করিমের পক্ষে গেলে রহিম ঘুষের অভিযোগ তোলে। এখনও সন্ত্রাসীকে আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হত্যার কলংক আর ৭০০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিতে হয়। এখনও সন্ত্রাসীকে গুলি না করে নিজে গুলি খেয়ে মরলে নাটকের নায়ক বলা হয়।
বন্ধুদের চায়ের বিল দিলে বলে ঘুষের টাকা দিবাই তো, না দিলে বলে পুলিশ কিপটা। এখনও অন্যের মাতাল ছেলেকে ধরলে ধন্যবাদ আর নিজের মাতাল ছেলেকে ধরলে বলে ভদ্রলোক লোককে অপমান, চাকরি খেয়ে নেব। না হলে থানা ঘেরাও স্মারক লিপি ৩৬ জায়গাতে অভিযোগের কপি, তিনবেলা সাংবাদিক সম্মেলন।
পুলিশের কাছে পুলিশের নূন্যতম মুল্য পেতে গেলেও প্রশ্ন ওঠে পুলিশ বলে পুলিশ কে সুবিধা দিল।কিন্ত অন্যে সব পেশার ইউনিটি অন্যে রকম। বছরের পর বছর রাত্রি জেগে দায়িত্ব পালন করে চোখের কালী সম্বল হলেও পদন্নতি একটা ই খুব বেশী হলে যাবার দিন আরেক টা।
সাক্ষী দিতে গেলে অনেক জায়গাতেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়,অনেক সময় দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না ।অথচ সেই সাক্ষী ই নির্ধারণ করে মামলার গতি প্রকৃতি। আবার অবসরে ছেলের বেতনের টাকা দিয়ে স্বাক্ষী দিতে হয় জেলায় জেলায়।
চাকরি টা করতে হয় তাই করে?সেটাও না ইউনিফর্ম সার্ভিস!ইউনিফর্মের মোহ আছে ।যারা এই মোহ কে আত্মার মধ্যে দেখেছে তারা ৩৬ বছর দারোগা থাকলেও সেটা করে যায়।মানুষ কে সেবার একমাত্র স্হান।
আর সেটা খারাপ করলে তো খারাপ হবে।কিন্ত যারা ভাল করে তাদের কি লাভ?তাদের কি মুল্য?তাদের যাচাই দর কত ? খারাপ দের জন্য সবাই কে শুনতে হয় পুলিশ খারাপ, পুলিশ এটা করছে ,সেটা করছে ।শুধু এই দেশেই না পৃথিবীর অনেক দেশেই সব দোষ নন্দঘোষ মানে ঐ পুলিশের।
দোষ ধরা র সাথে সাথেই যদি মুল্যমান বৃদ্ধির কথা বলত,সুবিধা ও সম্মান দেওয়ার কথা বলা হত।যোগ্যতমদের কাতারে পুলিশের অবস্থান কে চিন্তা করা হত তাহলে বাজারের দামের বেশী দাম পেত পুলিশ।
এটাই সেবার রিসেল ভেলু। ঠিক হলে তো সবার কাছেই ঠিক হওয়ার কথা । কিন্ত পুলিশ এক নষ্টে সবার দোষ!
যাচাই করে দেখিনি তো দাম তোমার জন্য রাত্রজেগে
দোষ কিনিলাম না গুণ কিনিলাম !
ইমাউল হক পিপিএম
ইনটেলিজেন্স ইন্সপেক্টর
১৪ এপিবিএন কক্সবাজার
সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া নির্বাহী সম্পাদকঃ মো.স্বপন মজুমদার বার্তা সম্পাদক এম.এ তাহের অফিস ১৯৫ ফকিরাপুল প্রথম গলি রহমান ম্যানশন (৩য় তলা) মতিঝিল ঢাকা ১০০০ এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর মুখপএ যোগাযোগ ও নিউজ এর জন্য ইমেল uttaron24@gmail.com সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০৭- ২০২০ দৈনিক উত্তরণ এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ. তথ্য.ছবি কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
zahidit.com