আজ || শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  ফেনীর ৪০ চেয়ারম্যানই আত্মগোপনে, ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিকরা       ফেনীর দাগনভূইয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০       দাগনভূঁইয়ার প্রত্যেক বাজারের, দায়িত্বশীলদের ওসি মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের অনুরোধ       চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে, দাগনভূঁইয়া থানার ওসি লুৎফর রহমান       শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাহরাইনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ       দুই উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে ফেনীতে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ       ফেনীতে জুমার নামাজ পড়ালেন কাবা শরীফের সাবেক ইমাম শায়েখ ড. হাসান বোখারী       ১৭ বছর পর কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর       চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ স্থগিত করেছে বিএসএফ    
 


ফেনীর ৪০ চেয়ারম্যানই আত্মগোপনে, ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিকরা

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪২টিতেই নেই চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি। ফলে বিভিন্ন সনদ পাওয়ার জটিলতায় সেবা বঞ্চিত হয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পড়েছেন নাগরিকরা।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে একমাত্র সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির ছাড়া ৪০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। বাকি দাগনভূঞা উপজেলার সদর ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদোউত্তীর্ণ হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ‍্য মতে, জেলার ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও ৩৮৭ জন সদস্য ও ১২৯ নারী সদস্যের ৭০ শতাংশই পরিষদে অনুপস্থিত।

গত ২০ আগস্ট ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় সবকটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় তলিয়ে যায়। এতে করে পরিষদগুলোর কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাগজপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এসব ইউনিয়ন পরিষদের সেবার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। জন্ম, মৃত্যু, পারিবারিক, নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সেবা পেতে নাগরিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বয়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, স্থানীয় সরকার ব‍্যবস্থার দিকে তাকালেই বুঝা যায় বিগত ফ‍্যাসিস্ট সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা কি পরিমাণ অপকর্ম করেছে, যার কারণে সবাই পালিয়েছেন। বর্তমান সরকার এখন উচিত যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেইসঙ্গে মানুষও ভোগান্তি থেকে মুক্ত হবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের মতো আশানুরূপ কাজ চাকরিজীবীরা করতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ তাদেরও দাফতরিক কাজ করতে হয়। জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নাগরিক সেবা উন্নয়নে বর্তমান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের অনুরোধ করেছি, বিগত সরকারের পরিষদ সদস্যদের মধ্যে যারা কোনো অপরাধ করেননি জনস্বার্থে তাদের পরিষদের কার্যক্রমে ফিরে আসার উদ্যোগ নিতে।


Top