বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নন্দিরপাড় গ্রামে ডাকাত কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নে আব্দুর রহিম(৩৮) নামে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। সোমবার ভোর ৪টার দিকে কাদরা ১ নম্বর ওয়ার্ড নন্দিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ডাকাতিকালে তাকে আটক করা হয়। আটক রহিমের ছোরার আঘাতে আহত হয়েছেন আশরাফ হোসেন মোহন নামে একজন। আটক আব্দুর রহিম ফেনী জেলার দাগনভূঞাঁ উপজেলার ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান হোসেন রোকার ছেলে।
এলাকাবাসী জানায় সোমবার ভোরের দিকে নন্দিরপাড় গ্রামের প্রবাসী আশরাফ হোসেন মোহনের বাড়িতে ছাদের দরজা ভেঙে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত ঢুকে। এ সময় তারা মালামাল লুট করে ঘরের প্রধান দরজা খুলে বের হয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসী মোহন পেছনে থাকা ডাকাত সদস্য আব্দুর রহিমকে লোহার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘরে আটকে যাওয়া ডাকাত আব্দুর রহিমের সঙ্গে হাতাহাতির এক পর্যায়ে তিনি মোহনকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে।
মোহনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বাইরে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজনের সহযোগিতায় ডাকাত রহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ও প্রবাসী মোহন সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোহন জানান ডাকাত আব্দুর রহিমকে আটক করা গেলেও তার অন্য সদস্যরা ঘরের আলমেরি ভেঙে আট ভরি স্বর্ণ নগদ দুই লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়েও জীবন রক্ষার্থে আমরা প্রথমে বাধা দেইনি। সুযোগ বুঝে কৌশলে এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হই।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আহত ব্যক্তি পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।