মো.মেহেদী হাসান
সংবাদ প্রকাশের পর প্রবাসীদের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরলেন অসুস্থ ফারুক
দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী প্যারালাইজড ফারুক মিয়া (৩৯)। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সহযোগিতায় ফারুক মিয়া বুধবার বিজি ৮৭-এর একটি ফ্লাইটে সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। অসুস্থ ফারুক মিয়া ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানার আকছাইন গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
‘এক পা প্যারালাইজড হয়ে চলাচলে অক্ষম মালয়েশিয়া প্রবাসী তার স্ত্রী সন্তানদের কাছে ফিরতে চান।’ এই শিরোনামে গত সপ্তাহে জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রকাশিত সংবাদ পড়ে সাড়া দিয়েছে মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
গত ছয় মাস ধরে তার ডান পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তিনি কাজ কর্ম ও চলাফেরা করতে পারছিলেন না। চিকিৎসায় তার সব টাকা খরচ হয়ে যায়। কিছু দিন আগে ধার দেনা করে তার পরিবার ৭০ হাজার টাকা পাঠালেও সেই টাকা ভারতীয় তামিল ছিনতাইকারীরা পাসপোর্টসহ কেড়ে নেয় বলে জানান তিনি। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে তিন হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত প্রয়োজন উল্লেখ্য করে সংবাদ প্রকাশের পর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা করে ফারুক মিয়াকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন সবাই।
ফারুক মিয়া ২০০৭ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান। তিনি কনস্ট্রাকশন সেক্টরে কাজ করতেন। তার ডান পা প্যারালাইজড হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় কুয়ালালামপুর কোতারায়া বাংলাদেশী মার্কেটের বারান্দায় থাকতেন। দেশে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার অসহায়ত্ব দেখে বাংলাদেশী প্রবাসী শাহিন আলম সাময়িকভাবে তাকে স্থান দেন। তারপর ফারুকের জন্য টাকা কালেকশন ও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার এবং ন্যাশনাল ব্যাংক এনবিএল মানি ট্রান্সফারের কর্মচারী মো: মাসুদুল আলম কাজল।
এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রবাসীরা দাবি করেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসীরা নানা সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন, দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের যেন সরকারি তত্ত্বাবধানে দূতাবাসের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়। কোনো হয়রানি ছাড়াই দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছে প্রবাসীরা।