নিউজ ডেস্ক:
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, বাহরাইনে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বাহরাইন সরকার ২৪ মে ২০২১ খ্রিঃ তারিখ হতে বাহরাইনে প্রবেশ কেবলমাত্র বৈধ রেসিডেন্ট পারমিটধারীদের জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে ফ্লাইটের সময়ের ৪৮ ঘণ্টার ভিতর সম্পন্নকৃত (কিউআর কোড সম্বলিত) পিসিআর কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে এবং ১০ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
কোয়ারেন্টাইন সময়সীমা যাপনের জন্য যাত্রীর নিজের নামে বাহরাইনের যেকোন ফ্ল্যাট/বাড়ীর এগ্রিমেন্ট পেপার, ইলেক্ট্রিসিটি বিল-এর কপি প্রদর্শন করতে হবে অথবা বাহরাইন সরকার ও হেলথ মিনিস্ট্রি কর্তৃক অনুমোদিত হোটেল-এ ১০ দিন বুকিং-এর প্রমাণপত্র দেখাতে হবে পাশাপাশি যাত্রীকে বাহরাইন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ০২ টি করোনা টেস্টের জন্য ৩৬ দিনার পরিশোধ করতে হবে।
গতকাল ২৪ মে ২০২১ খ্রিঃ তারিখে গালফ এয়ার ও শ্রীলঙ্কান এয়ার যোগে আগত প্রায় ১৬০ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিজের নামে ফ্ল্যাট/বাড়ীর এগ্রিমেন্ট, ইলেক্ট্রিসিটি বিল-এর কপি বা হোটেল বুকিং-এর প্রমাণপত্র না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হন। পরবর্তীতে তাঁদের অনেকেই নিজেদের আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজন, বন্ধু বা সহকর্মীদের সহযোগিতায় নির্ধারিত হোটেলে বুকিং সম্পন্ন করে এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গালফ এয়ার যোগে আগত বিপদগ্রস্থ ৩২ জন যাত্রীর জন্য রাষ্ট্রদূত-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফ্রি হোটেল-এর ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অবস্থানকালীন সময়ে তাঁদের জন্য দূতাবাস খাবারের ব্যবস্থা করে।
এমতাবস্থায়, বাহরাইনে উদ্দেশ্যে আগত সকল যাত্রীদের বাহরাইন সরকারের নিয়মাবলী অনুসরণ করে নির্ধারিত হোটেলে ১০ দিনের বুকিং-এর প্রমাণপত্রসহ এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এবং বাহরাইনের বিভিন্ন ব্যক্তি/সংগঠন যারা বাহরাইন সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত/নির্দেশনাবলী জনস্বার্থে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে থাকেন, তাঁদেরকে সাধারণ প্রবাসীদেরকে বিভ্রান্ত না করে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এজাতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সূএ বাংলাদেশ দূতাবাস