বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেনী দাগনভূঞাঁ উপজেলার ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের সেকান্দর পুর গ্রামে বসতবাড়ী নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার সেকান্দরপুরের হাসান আলী ভুঞা বাড়ীর অলি আহম্মদের স্ত্রী জোহরা আক্তার। নাসরিন আক্তার। আইরিন আক্তার। আতিক উল্লাহ। এবং অপর পক্ষের মনোয়ারা বেগম।
অলি আহাম্মদের স্ত্রী জোহরা আক্তার ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, একই বাড়ির কামাল উদ্দিন ২ বছর আগে অলি আহাম্মদের চলাচলের রাস্তায় জায়গা পাবে বলে দালান ঘর তোলে । যার কারণে অলি আহম্মদের পরিবারের লোকজন কামাল উদ্দিনের দালান ঘর ঘেষে চলাচল করতে হয়।
প্রতিদিনের ন্যায় (২০ আগষ্ট) শুক্রবার ১১ টার সময় অলি আহম্মদের ছেলে ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কামাল উদ্দিন ছেলেটিকে মারধর করে। এতে অলি আহাম্মদের স্ত্রী জোহরা আক্তার ঘর থেকে ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন জোহরাকেও মারধর শুরু করে। এসময় মা এবং ছোট ভাইয়ের শোর চিৎকার শুনে নাসরিন ও আইরিন এবং অলি আহম্মদের ভাই আতিকুল আলম ঘর থেকে বাহিরে বের হয়ে আসলে কামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী সন্তান মিলে তাদের বেদম প্রহার করে। এতে নাসরিন, আইরিন ও আতিকুল আলম গুরুতর আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের দাগনভূঞাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জোহরা, আতিকুল ও আইরিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলেও বড় মেয়ে নাসরিন গুরুতর আহত ফেনী ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে রেপায়ার করেন এবং সেখানে চিকিৎসা প্রদান করেন।
পরে অলি আহম্মদের ভাতিজা বাদী হয়ে দাগনভূঞাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, ১/ কামাল উদ্দিন (৫৫) পিতা- মৃত হাবিব উল্লাহ। ২/ আল আমিন (১৮), পিতা- কামাল উদ্দিন। ৩ / মনোয়ারা বেগম (৪৫) স্বামী কামাল উদ্দিন। ৪/ জোসনা আক্তার হোনাই (৪০) পিতা- মৃত হাবিব উল্লাহ।
৫/ মর্জিনা আক্তার চুমকি (৩০) ৬/ পপি (২৫) উভয় পিতা- কামাল উদ্দিন।
নাম না বলার শর্তে বাড়ীর একজন জানান, এসময় কামালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) এবং মেয়ে পপি (২৫) জখম হন।