অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলতে পারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর সদরে একটি স্কুলে নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তও হতে পারে।
এর আগে গতকাল মেডিকেল ও নার্সিং কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়। করোনার কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ আছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক বছর ৫ মাস ১৭ দিন থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুলে দিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনও হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট সবশেষ ঘোষণায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ১১ সেপ্টেম্বর করা হয়। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ রয়েছে, খুললেও করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই।
দেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর কবর আসে। মারণ ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর সংক্রমণ পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়।