আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, বাঙালি জাতির শোকের দিন

অনলাইন ডেস্ক:

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঢাকায় সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙালির মহানায়ককে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় বিভীষিকার ওই রাতে ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।

সেই রাতে নিহত মুজিব পরিবারের সদস্যবৃন্দ: ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল; পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি ৷ বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিল উদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন।

সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা বেঁচে যান।

বাঙালি জাতির শোকের দিনটি প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও যেন নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে কলঙ্ক থেকে জাতির মুক্তি ঘটে।

সেই পাঁচ খুনি হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)।

দীর্ঘদিন পর জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদ ভারতের কলকাতায় পালিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে গত বছরের ১০ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এখনো পাঁচ আসামি খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন ও এস এইচ নূর চৌধুরী বিদেশে পলাতক।

সাম্প্রদায়িক, স্বৈরতান্ত্রিক ও শোষণবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। জাতির সৌভাগ্য যে ঘাতক চক্রের শাসনকাল স্থায়ী হয়নি।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।


Top