আজ || মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন বিএনপি বাহরাইন কেন্দ্রীয় কমিটি       ফেনীতে ঈদে আজম এর আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ       ফেনীর দাগনভূঞায় সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সেমিনার       ফেনীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ জনির অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার       ফেনীর দাগনভূঞায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ       ফেনীতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত       ফেনী ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন       বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারির সাথে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক       বাহরাইনসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পেল ইসি    
 


এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের নির্ধারিত দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা

যশোর সংবাদদাতা: সরকার এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের (১২.৫ কেজি) বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন ৬০০ টাকা। কিন্তু কেশবপুর হাট বাজারসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরকারের এই নির্দেশ কেউ মানছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলপি গ্যাস ক্রয় করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন,বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে এলপি গ্যাসের দাম সরকার নাকি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন কিন্তু বাজারে এসে দেখি আগের দামেই বিক্রয় হচ্ছে এলপি গ্যাস।

সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারন মানুষের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা মূল্য নিচ্ছে।
এই দূর্যোগপূর্ণ দুঃসময়ে জনসাধারণের সাথে এমন প্রতারণা করা মোটেও সমীচিন নয়।

এছাড়াও, কেশবপুর উপজেলায় মোড়ে মোড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অনুমোদন ছাড়াই বহু দোকানে এই ব্যবসা চলছে। রাস্তার ধারে যেনতেনভাবে ফেলে রাখা হচ্ছে সিলিন্ডার। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও এ নিয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। এ ব্যাপারে মূল দায়িত্ব বিস্ফোরক পরিদপ্তরের হলেও তাদের কোনো তদারকি নেই।

কেশবপুর উপজেলার রাস্তায় দেখা যায় দুই তিনটি দোকান যেখানে ইলেকট্রনিক্স, উপহার সামগ্রীর দোকান, শোরুমের সাথে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা।শহরের বাইরেও সব জায়গায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা আর লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে কেশবপুর প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ব্যবসা।

সময়ের সঙ্গে ডিলার যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে শহরের পানের দোকান, মুদির দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় দোকানিরা খুলে বসেছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট গুদামে না রেখে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় খোলা স্থানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। রাস্তার পাশেই চলছে বিক্রি।

বর্তমানে এই ব্যবসা শহর গ্রামের অলিগলিতেও পৌঁছে গেছে। আবাসিক এলাকাতেও যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা হচ্ছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব দোকানের বেশিরভাগ অনুমোদনহীন।

যারা অনুমোদন নিয়েছে তারাও মানছে না নিয়মনীতি।কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর, প্রতাপপুর, ভান্ডার খোলা, সাগর দাঁড়ি, চিংড়া, ত্রিমোহনী, পাজিয়া, মঙ্গল কোট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করতে গেলে অগ্নিনির্বাপক এর ব্যবস্থা রাখার কথা কিন্তু অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার নেই কোন দোকানে।

ফলে কেশবপুর উপজেলার প্রায় দোকানদার ও ক্রেতারা ঝুঁকির মধ্যে আছে।

জনসাধারনের হয়রানীর বিষয়টি বিবেচনা করে, ভোক্তা অধিকার আইনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন কেশবপুরের ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

 


Top