মোশারফ হোসেন জনী
কাতারে চাকরি দিয়ে বিপদে বাংলাদেশি, ৩৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও দুই ভাই।
কাতারে নোয়াখালী সেনবাগের কর্মহীন দুই সহোদরকে সহানুভূতি দেখিয়ে চাকরি দিয়ে বিপদে পড়লেন নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর রায়পুরের পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী নিয়াজ কবির চৌধুরী, কাতার প্রবাসী এ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৬৭ হাজার কাতারি রিয়াল বাংলাদেশি প্রায় ৩৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে গেছেন দুই সহোদর আব্দুল বাতেন ও জাহিদুর রহমান, তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ সদর থানার মানিকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাতে কাতারের রাজধানী দোহা নাজমা বাবা সুলতান রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশে পালাতোক টাকা আত্মসাৎ কারী দুই সহোদর আব্দুল বাতেন ও জাহিদুর রহমানের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। অর্থ আত্মসাৎকারী কাতার থেকে দেশে পালানো দুই সহোদর আব্দুল বাতেন ও জাহিদুর রহমানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী ও কমিউনিটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী নিয়াজ কবির চৌধুরী। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাতার বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা দিলীপ কুমার ছোটন, কাজী আশরাফ হোসাইন, মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, সুমন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ নোমানসহ আরও অনেকে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নিয়াজ কবির চৌধুরী জানান, কাতারে চাকরি হারানো, কর্মহীন দুই সহোদরকে নিজ জেলা নোয়াখালী হওয়ার কারণে চাকরি দেন, কাতারের রাজধানী দোহা নাজমায় অবস্থিত আল নায়মী তফসিল টাওয়ারের মাসিক ভাড়া তোলার দায়িত্ব ও দেন, প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা ১০ তারিখের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেও চলতি মাসে ১৩ তারিখ দিবেন বলে, ১২ জানুয়ারি রাতে সব টাকা নিয়ে দেশে পালিয়ে যান দুই ভাই আব্দুল বাতেন ও জাহিদুর রহমান। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নিয়াজ কবির চৌধুরী আরও জানান, কাতারি নাগরিকের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া হিসেবে নেওয়া টাওয়ারটির ভাড়া কিছু দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে, কাতারি নাগরিকের দেওয়া মামলায় জেলে যেতে হবে, এই অবস্থায় অর্থ আত্মসাৎকারী কাতার থেকে দেশে পালানো দুই সহোদর আব্দুল বাতেন ও জাহিদুর রহমানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন এ ভুক্তভোগী। এ বিষয় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ভুক্তভোগী দূতাবাসে গেলে কাতারের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনকে মাধ্যম করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দেওয়ার কথা বলেন।