আজ || শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত       বাহরাইন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (LMRA) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের ফ্যামিলি মাইক্রোফাইন্যান্স হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       বাহরাইনের বিচার, ইসলামী ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ক্ষমতার প্রভাবে শিক্ষকতা না করেও ১৫বছর যাবত স্কুলের বেতন উত্তোলন করেন রাবেয়া আক্তার রাবু       বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব       নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার আয়োজনে নবমী পূজা পালিত       বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী জেলার উদ্যোগে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত    
 


কে ধরিবে হাল, কে তুলিবে পাল, ইমাউল হক পিপিএম

অনলাইন ডেস্ক :

পৃথিবী শাসন করা দেশ যুক্তরাষ্ট্র ,চিরদিনের ভেটো পাওয়ার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ব্রিটেন ভেটো পাওয়ার দিয়ে দিয়ে করোনাভাইরাস আগমন ঠেকাতে পারেনি।বড় বড় বিশ্বের হর্তাকর্তারা সংক্রামনের ভয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর কোথাও কোন ঔষধ নেই, প্রতিষেধক তেমন কাজ করছে না , চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।

সারাবিশ্ব আজ বেসামাল !অস্থির ! হয়তো!হায়!প্রান বুঝি যায় যায় ।স্ত্রী,সন্তান পিতা মাতার সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তা আর উৎকন্ঠা পার করছে।নির্ঘুম রাত আর অনাহার দিন যাচ্ছে ডাক্তারের দ্বারে দ্বারে!

কোন মানুষের বুদ্ধি পাত্তা পাচ্ছে না !কোন মেধাই কাজে আসছে না !করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন চিকিৎসা কাজে লাগছে না। টিকা নিয়েও আক্রান্ত হতে হচ্ছে দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার। এ ভাইরাস চিকিৎসকদের যেভাবে আক্রমণ করছে তাতে অনেক ডাক্তার রোগের ভয়ে চেম্বারে রোগী দেখাই বাদ দিয়েছেন।

যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধবিদ্যা দেখলে, অনেক তরুণ যোদ্ধা হতে চায়, যুদ্ধে যেতে চায় ,স্বাধীন সত্তা আনতে চায় । যার হাতে অস্ত্র থাকে সে যুদ্ধ জয় করে।ঠিক তেমনই ডাক্তারের হাতে কোন অস্ত্র নেই।আর ঔষুধের কাজ তো ঢাল লাঠি দিয়ে হয় না ।অস্ত্র যুদ্ধ করে ভাইরাস তাড়ানো যায় না। চিকিৎসার ব্যাপার, ওষুধের ব্যাপার!

ইতিহাসে একশ বছর পরপর মহামারী এসেছে। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে 100 বছর পরপর মাননীয় ডাক্তার মহোদয় দের একটু সাহসী হতে হবে। এবং এখন সে সময়। যুদ্ধে গেলে সেনা শহীদ হবে এটাই স্বাভাবিক। আর করোনা যুদ্ধে মরলে শহীদ।মানবতার পুজনীয় হয়ে থাকবে এপার ওপার।

দেশের মানুষ রোগের ভয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজনকে জানাজা ,কবর খোঁড়া, সৎকার করতে ভয় পাচ্ছে ,এগোচ্ছে না। আবার লক ডাউন, রেস্ট্রিকশন দিলে তোয়াক্কা করে না,করোনার ভয় আছে কিন্ত ডিজে পার্টির আনন্দ হাত ছাড়া করতে চায় না।সবাই মনে করে প্যারাসিটামল খেলেই যেন ঠিক হয়।

পৃথিবী শাসন করা দেশ যুক্তরাষ্ট্র ,চিরদিনের ভেটো পাওয়ার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ব্রিটেন ভেটো পাওয়ার দিয়ে দিয়ে করোনাভাইরাস আগমন ঠেকাতে পারেনি।বড় বড় বিশ্বের হর্তাকর্তারা সংক্রামনের ভয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর কোথাও কোন ঔষধ নেই, প্রতিষেধক তেমন কাজ করছে না, চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।

যে দেশে একজন মানুষ সাধারণ মৃত্যু হলেও মহা চিন্তায় পড়ে যান । বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষার জন্য মহাব্যস্ত হয় , সে সকল দেশে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন শত শত ,হাজার হাজার । পুরো বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ঔষধ আবিষ্কার, সরবরাহ ও সেবনের মাত্রা সবকিছুই ভেঙে পড়ছে। হন্য হয়ে সবাই চেষ্টা করছে করোনাভাইরাস এর ঔষধ এবং প্রতিষেধক গ্রহণ করতে।

জন্মের সাধ যেমন ভাবে মানুষ গ্রহণ করে। মৃত্যুর ও একটি স্বাভাবিক স্বাদ আছে।কিন্ত তেমন ভাবে গ্রহণ করতে পারছে না। অসুস্থ হলে একাকী থাকতে হচ্ছে সে ৮০বছরের বৃদ্ধ হলেও। মারা গেলে তার সৎকার হচ্ছে সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে। শেষ বেলায় রক্তের কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না। বিবেকবান, ধর্মপ্রাণ সকল মানুষ তাকিয়ে আছে আধিপত্য মহান আল্লাহর দিকে।

জ্ঞানী, বিজ্ঞানী ,মহাজ্ঞানী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,কবিরাজ, জজ, ব্যারিস্টার গভর্নর মন্ত্রীপ্রেসিডেন্ট,রাজা ,বাদশা,আলমপানা ,জাঁহাপানা সবাই যেন অসহায়!হতাশ,নিরুপায়, হতবাক,এক অষাঢ় অনুভুতিহীন।

একদিকে বিনা চিকিৎসায় রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে তা প্রতিহত করতে যেয়ে লক ডাউনে না খেয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা !। জনজীবন বিপর্যস্ত। মহা ভয়ঙ্কর অবস্থা। মানবজাতির সংখ্যা একাকী মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে দিন দিন কমছে।ভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনজন হতে দূরে দূরে থাকছে। বন্ধুত্ব সৌহার্দ্য হারিয়ে ফেলছে।কেউ কারো সঙ্গ দিচ্ছে না।সাধারণ রোগেও ডাক্তার দেখাতে যেতে না পড়ে দাপাদাপি করে মরছে।

এই অবস্থা দুই বছর হল। আর কতদিন চলে তা আল্লাহ ই জানে।সকল সাধারণ মানুষের একটি আশা-আকাঙ্ক্ষা ,চিন্তা চেতনা কবে যাবে এই মহামারীর।সেদিনটি যত তাড়াতাড়ি আসবে ততই মঙ্গল।

তবে মানুষ এখন আগের চেয়েও মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা তে যাচ্ছে নিয়মিত। সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশী।মনুষ্যত্ব ফিরে আসার এখনই মাহেন্দ্রক্ষন । আর সেটা যদি সবাই মিলে ধরে রাখা যায়।সবাই কে সবার হতে হবে। মনুষ্যত্ব, মানবিকতা,নীতিনৈতিকতা, ধর্মপরায়ন ,ঐশ্বরিক শক্তি ই এখন বেঁচে থাকার ঢাল। কিন্তু কে ধরিবে হাল! কে তুলিবে পাল?

লেখক-
ইমাউল হক পিপিএম ইনটেলিজেন্স ইন্সপেক্টর
১৪ এপিবিএন কক্সবাজার


Top