আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রধান আসামি আটক

বিশেষ প্রতিবেদক 

নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রধান আসামি আটক

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রধান আসামিকে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দল।শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুল হককে (৩৫) আটক করা হয়। সে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে।

হাকিমপুর থানার ওসি ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র‌্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে। এ ঘটনার প্রধান আসামি ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত সেই করেছে। তাকে রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে এক থেকে দুই জন ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ২য় তলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ওয়াহিদা খানমের শয়নকক্ষে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে পাশের কক্ষে অবস্থানরত তার বাবা ওমর আলী শেখ তাহাজ্জদের নামাজ পড়তে ওঠেন।

এ সময় এ দৃশ্য দেখে মেয়েকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। দুর্বৃত্তরা তখন তাকেও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। হাতুড়ির আঘাতে ওয়াহিদা খানম রক্তাক্ত জখম হন ও জ্ঞান হারান। এ সময়ে পাশে থাকা তার তিন বছরের শিশুপুত্রের চিত্কার শুনে বাড়ির নাইটগার্ড তার ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। এরপর তার চিত্কারে পাশের ভবনে অবস্থানরত বিভিন্ন অফিসের লোকজন এসে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে এনে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরে আসে। রাতে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক ও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় জনের টিম রাত সাড়ে ৯ টায় অপারেশন শুরু করেন। দেড় ঘন্টা ধরে অপারেশন চলে।

অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক জানিয়েছেন, অপারেশন সফল হয়েছে। ওয়াহিদা খানম শংকামুক্ত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানিয়েছেন, তাকে ৭২ ঘন্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

 


Top