আজ || মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
  ফেনীর রামপুরে সাংবাদিকের বাসা বাড়ি লক্ষ্য করে ফিল্মি স্টাইলে গুলি বর্ষণ করেন দুর্বৃত্তরা       জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইন       সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাহরাইনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       ১২ বছরের সফল যাত্রা শেষে ১৩ বছরে পদার্পণ করেছেন ফেনী ইউনিভার্সিটি       গণসংযোগকালে ফেনীতে বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর গাড়ি বহরে হামলা, আহত ১০       কুমিল্লা সদর- ৬ আসনে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ফ্রান্সে সংবাদ সম্মেলন       বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনের উদ্যোগে প্রবাসীদের জন্য সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন       কুমিল্লা সদর- ৬ আসনে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বাহরাইন প্রবাসীদের সংবাদ সম্মেলন       বৃহত্তর পাবনা সোসাইটি বাহরাইনের সভাপতি মরহুম হায়াত উল্ল্যাহ মল্লিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে স্মরণ সভা       বাহরাইনের বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী নূরুল ইসলাম নূরের পিতা: আবুল কালাম আজাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত    
 


ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির

দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। “The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025” নামে এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে একটি নতুন ধারা (173A) যুক্ত করা হয়েছে, যা তদন্ত চলাকালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন।

সংশোধিত আইনে যুক্ত হওয়া 173A ধারায় “Interim investigation report, etc.” (অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি) শিরোনামে নতুন বিধান আনা হয়েছে। এর মূল বিষয়গুলো হলো:

১. অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন তলব: এখন থেকে মামলার তদন্ত চলাকালে যেকোনো পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বা সমমর্যাদার কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (Investigating Officer) মামলার অগ্রগতির বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।

২. অভিযুক্তকে অব্যাহতি: অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে যদি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেই প্রতিবেদন আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল) দাখিল করা যাবে। আদালত ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি (Discharge) দিতে পারবেন। এর ফলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা না করেই নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।

৩. পুনরায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ: অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি পেলেও সেটি চূড়ান্ত নয়। যদি তদন্ত শেষে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে চূড়ান্ত পুলিশ প্রতিবেদনে (ধারা ১৭৩ অনুযায়ী) তার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো বাধা থাকবে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নতুন বিধান বিচার প্রক্রিয়ায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এর ফলে তদন্তাধীন মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে নিরপরাধ ব্যক্তিদের জেল হাজতে থাকা বা হয়রানির শিকার হওয়ার প্রবণতা কমবে। একই সাথে এটি বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতেও সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধ্যাদেশটি জারির তারিখ থেকেই কার্যকর বলে গণ্য হবে।


Top