আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


প্রবাসী শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে আনার ব্যবস্থা চেয়ে সরকারকে নোটিশ

প্রবাসী শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে আনার ব্যবস্থা চেয়ে সরকারকে নোটিশ

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত শ্রমিকদের কেউ মারা গেলে তার মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা চেয়ে সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং যে শক্তির ওপর ভর করে আমরা দাঁড়াচ্ছি, সেটা মূলত বৈদেশিক রেমিট্যান্স। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় মাধ্যম হিসেবে রেমিট্যান্স বা বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের পাঠানো টাকাই বিবেচিত হচ্ছে।

দেশের মানুষ বিদেশের মাটিতে শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। সেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধা আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ ভোগ করছে এবং আমরা আয়েশি জীবন-যাপন করতে পারছি।

সাধারণত বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোনও শ্রমিক মারা গেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত শ্রমিকের মরদেহ সংশ্লিষ্ট দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রি ভিসা বা অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক মারা গেলে সে যে দেশের নাগরিক সেই দেশকেই তার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে আমাদের দেশের এ ধরনের শ্রমিকদের যারা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের লাশ বিমান বাংলাদেশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করে আসছিল। কিন্তু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে আর মৃতদেহ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে ক্ষেত্রে বিদেশে কোনও শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের খরচে মরদেহ দেশে আনতে হবে। এটা হতে পারে না।

যেসব মানুষ নিজের পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে বিদেশে গিয়ে শ্রম দিচ্ছে, আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখছে, তারা কোনও দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করলে, রাষ্ট্র তার মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না, অন্তত একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে এ রূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

তাই নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে মৃত শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

 


Top