আজ || বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন বিএনপি বাহরাইন কেন্দ্রীয় কমিটি       ফেনীতে ঈদে আজম এর আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ       ফেনীর দাগনভূঞায় সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সেমিনার       ফেনীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ জনির অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার       ফেনীর দাগনভূঞায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ       ফেনীতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত       ফেনী ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন       বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারির সাথে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক       বাহরাইনসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পেল ইসি    
 


বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

মো.স্বপন মজুমদার:

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসব।

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাহরাইন প্রবাসী বাংলাভাষী সম্প্রদায় পালন করেন এ অনুষ্ঠানটি।

দেশটির রাজধানী মানামা (৯অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় স্থাপিত অস্থায়ী এ পূজার আয়োজন করা হয়।

বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শাখার আয়োজনে ৭ বছর ধরে বাহরাইনে এ পূজার আয়োজন করে আসছে।

পূজার আয়োজনের জন্য সংগঠন টি কে সহায়তা করেন বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ

স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলো।

আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার সভাপতি অনুকূল দেবনাথ,

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুকুমার যীশু হিন্দুরত্ন,

বাংলাদেশ দূতাবাসের হিসাব রক্ষক সঞ্জয় পন্ডিত,

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দেব,

রুপম পাল, ছোটন দেবনাথ,

ঝন্টু শীল, প্রদীপ ভট্রাচার্য্য সহ,

বাহরাইনস্থ হিন্দু মহাজোটের সকল শাখা কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সকল নেতৃবৃন্দ।

এর আগে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন ও মহাষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে, ৫ দিনব্যাপী পূজার শুভসূচনা করা হয়।

পুরোহিত ছিলেন শ্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য।

এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ৯ অক্টোবর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়।

পরবর্তী ৫দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হয়।

সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে যান স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে।

পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ।

রবিবার দেবীর মহাদশমী বিহিতপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর পরপরই বিবাহিত হিন্দু নারীরা দেবীর চরণ থেকে সিঁদুর তোলা ও একে অপরকে পরিয়ে দেয় এবং মঙ্গল কামনা করে এর সাথে চলে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময়।

পরে মিষ্টি দিয়ে বিদায় জানানো হয় মাতৃ প্রতিমাকে। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।


Top