আজ || শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত       বাহরাইন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (LMRA) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের ফ্যামিলি মাইক্রোফাইন্যান্স হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       বাহরাইনের বিচার, ইসলামী ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ক্ষমতার প্রভাবে শিক্ষকতা না করেও ১৫বছর যাবত স্কুলের বেতন উত্তোলন করেন রাবেয়া আক্তার রাবু       বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব       নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার আয়োজনে নবমী পূজা পালিত       বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী জেলার উদ্যোগে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত    
 


ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন প্রেমিক জাহিদ পলাতক

মনোহরগঞ্জ সংবাদদাতা

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ এক গৃহবধূর মারিয়া আক্তার মৌসুমী(২৪) পরকীয়া জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে এলাকায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে । নিহত গৃহবধূর স্বজনরা বলছেন পরকীয়া প্রেমিক জাহিদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় লেখা নগ্ন ছবি ও ভিডিও প্রেমিকের মোবাইলে থাকায় সে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রেমিক জাহিদের স্বজনরা বলেন, গৃহবধূ সাথে জাহিদের কোন সম্পর্ক নাই তাদের পারিবারিক কলহের কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। এ দিকে পরকীয়া প্রেমিক জাহিদের মোবাইল ফোন টি উদ্ধার করেছে স্হানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যেই মোবাইলে থাকা গৃহবধূ ও প্রেমিক জাহিদের অন্তরঙ্গ অশ্লীল ছবি শেয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের মোবাইলে। গত ২০ মার্চ শনিবার এ ঘটনায় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার কয়েকজন মিলে গৃহবধূ আত্মহত্যা ও প্রেমিক জাহিদের মোবাইল ফোন নিয়ে সালিশি বসেন তারা। উদ্ধার করা মোবাইলটি প্রবাসী তুহিনের ভাই কামরুল ইসলাম কাজে মোবাইল টি রয়েছে। সেটি ক্রয় করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন মূল্য উঠান ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
জাহিদের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার না হওয়া গত চারদিন ধরে পলাতক রয়েছে প্রেমিক জাহিদ। দু’পক্ষে মধ্যে সামাজিক ভাবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের উঠছে । ময়নাতদন্ত ছাড়াই গত শুক্রবার গৃহবধূর বাবার বাড়ি উপজেলার ঝলম “আমার স্বপ্ন ” ভিলা তার লাশ দাফন করা হয়। পুলিশে কাছে পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, কুমিল্লা মনোহরগুন্জ উপজেলা ঝলম ইউনিয়ন পোঁমগাড় নোয়াপাড়া ব্রাক অফিস সংলগ্ন তাজু মিয়ার ভাড়া বাসায় এ থাকতেন মারিয়া আক্তার মৌসুমী ও তার সন্তান। সে দিশাবন্দ গ্রামের প্রবাসী তুহিনের স্ত্রী। গত ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে ভাড়া বাসায় বিষ পান করে গৃহবধূ মৌসুমী। তার অবস্থা খারাপ দেখে ৮ বছরের সন্তান নানার বাড়িতে “আমার স্বপ্ন ভিলা” ফোন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মৌসুমীর পিতা-মাতা ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরঞ্জ ফি আমানউল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে কর্মরত চিকিৎসক অন্য হাসাপালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কুমিল্লা হাসপাতালে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত গৃহবধূ মৌসুমী পূর্ব ঝলম গ্রামের (‘আমার স্বপ্ন’ভিলা) মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের আব্দুল বাতেন (মুন্সী)ছেলে আল আমিন তুহিনের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তার স্বামী তুহিন প্রবাসে চলে যায় এর পর নোয়াপাড়া তাজু মিয়ার ভাড়া বাসায় সন্তান নিয়ে উঠেন স্ত্রী মৌসুমী। তুহিন প্রবাসে থাকায় অবস্থায় তার স্ত্রী সাথে দিশাবন্দ গ্রামের সাহাব উদ্দীনের ছেলে জাহিদের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা হত তাদের মোবাইলে দেখা করত বাসায় না হয় আবাসিক হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের মাঝে চলত অসামাজিক কার্যকলাপ। আপত্তিকর তাদের অন্তরঙ্গ অশ্লীল ভিডিও ছবি মোবাইল তুলে রাখতেন প্রেমিক জাহিদ। গৃহবধূ গর্ববতী হওয়ার পর প্রেমিক জাহিদ কে বিয়ে করতে চাপ দেন কিন্তু জাহিদ অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন এমনকি জাহিদের মোবাইলের তার অন্তরঙ্গ অশ্লীল ছবি দেখে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরমে পৌঁছায়। সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ধারণা।
দিশাবন্দরের বাসিন্দা সাদেক বলেন, দুই পক্ষে লোকজন এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে আমি মনে করি পুলিশ পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
প্রবাসী আলামিন তুহিনের বড় ভাই কামরুল ইসলাম জানান, মৌসুমী সঙ্গে জাহিদের পরকীয়ার প্রেমর সম্পর্ক আছে যাহা মোবাইল থাকা ছবি ভিডিও এবং তাদের লেখায় প্রমানিত, তুহিন দেশে আসলে এ ঘটনা নিয়ে মামলা করবে বলে প্রবাস থেকে আমাকে জানিয়েছেন, জাহিদের ব্যবহারি মোবাইলটি রয়েছে আমার কাছে।
জাহিদের চাচা ইউনুছ বলেন, এ ঘটনাটি চেয়ারম্যান ও গৃহবধূ পরিবার সহ বসে সমাধান করে দিয়েছে। জাহিদ বর্তমানে নোয়াখালী আত্মীয় বাড়িতে আছে। তুহিনের পরিবার এ ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে আমাদের সন্মান নষ্ট করছেন।

নিহত মৌসুমীর মা হাজেরা বেগম বলেন, আমার মেয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে এটা সত্যি, কি কারনে বিষ পান করলো এখন বলা যাবেনা। তবে তার স্বামী দেশে আসলে প্রমাণ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৌসুমীর ছোট বোন মিতু বলেন, আফুর সাথে জাহিদের সঙ্গে কথা এবং দেখা হয় তাদের। আফু কে হাসপাতে নিলে জাহিদ সঙ্গেই ছিল কিন্তু তাদের মাঝে কি হয়েছে তাহা আমি জানিনা। মনোহরগুন্জ থানা ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, আমাদের কাছে আত্মহত্যা ঘটনার সংবাদ আসেনি।


Top