আজ || শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আনসার বাহিনীর ধানের চারা বিতরণ       ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া    
 


ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১১ মাসেও চালু হয়নি আইসিইউ, ১১ কোটি টাকা খরচের ফাইল গায়েব

বিশেষ প্রতিনিধি :

ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য প্রধানমন্ত্রী জনবল অনুমোদন সহ আইসিইউ ও সিসিইউ এর জন্য ১১ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছিলেন। পুরো টাকা উত্তোলন করলেও কয়েকটা বেড ছাড়া আইসিইউ সিসিইউ এর অস্তিত্ব নেই। গতবছর করনার সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারি হাসপাতালে নিজস্ব টাকায় ২টি আইসিইউ চালু করে দিয়েছেন। ফেনী সদর হাসপাতালের অফিস থেকে ১১ কোটি টাকা খরচের ফাইল গায়েব হয়ে গিয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে উদ্বোধনের ১১ মাস পার হতে চললেও চালু করা সম্ভব হয়নি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এ জেলায় রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় সংকটাপন্ন রোগীরা আইসিইউর অভাবে মারা যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে জেলায় কোভিডের প্রকোপ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড সেবা দেয়ার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটিতে ৭৫ শয্যায় আইসোলেশন উন্নীত করা হয়। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন কোভিড পজেটিভ রোগী মারা যান।

গতকাল রবিবার হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে ১৩ জন পজেটিভ রোগী রয়েছেন। গত বছরের ১৭ মে হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১১ মাস অতিবাহিত হতে চললেও চালু করা সম্ভব হয়নি আইসিইউ সেবা। ইতিমধ্যে আইসিইউ সেবা চালুর জন্য একজন চিকিৎসক ডা: আসিফ ইকবাল ও ৫ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করতে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, ৩ জন কনসালটেন্ট ও ৬ জন মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: ইকবাল হোসেন ভূঞা  জানান, করোনার সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ। নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার প্রস্তুতি চলছে। খুব শীঘ্রই দুই শয্যা চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 


Top