আজ || বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


শিপ্রার দেবনাথের করা ফৌজদারি অভিযোগ আমলে নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে শিপ্রা দেবনাথের করা ফৌজদারি অভিযোগ আমলে নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। এ সময় তাদের রামু থানা অথবা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুজ্জামান। এমনটি জানিয়েছেন শিপ্রার আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু।

ফেসবুকে ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এবং পিবিআই’র এসপি মিজানুর রহমান শেলিসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড়শজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় যান শিপ্রা দেবনাথ।

এর আগে,ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্টকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন বলে এক ভিডিও বার্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ।

নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদের সফরসঙ্গী ও রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত, এবং ফ্রিল্যান্সার মিডিয়া কর্মী। আজ একটি নৃশংস ঘটনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।

তিনি বলেন,পুলিশ বাহিনী আমাদের গর্ব। অথচ ৩১ জুলাই রাতে এই বাহিনীর কুখ্যাত ওসি প্রদীপ ও তার সহচর ইন্সপেক্টর লিয়াকত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে।

পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে শিপ্রা বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর রাতে এসে আমাদের কটেজ থেকে পুলিশ আমাদের দুটি মনিটর, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ক্যামেরা, লেন্স, তিনটি হার্ডড্রাইভ এবং আমাদের ফোন ডিভাইস সব নিয়ে যায়। জব্দ তালিকায় যার কোনোটির কোনো উল্লেখ নেই। আমি জানি না, এখন কীভাবে বা কার কাছে সেসব ফেরত চাইব।

তিনি আরো বলেন,আমাদের পার্সোনাল প্রোফাইল ও ডিভাইস থেকে সে সব বিভিন্ন ছবি চুরি করে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের দায়িত্বশীল অফিসাররাই ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। আমার নামে খোলা হয়েছে ফেক ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম আইডি। আমার ব্যক্তি জীবনকে যারা অসহনীয় করে তুলেছেন বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তৈরির মাধ্যমে, তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব,কথা দিলাম।

আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে এভাবে আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নিগৃহীত করার প্রচেষ্টা বাংলাদেশের আইনে কি শাস্তি যোগ্য অপরাধ নয়? আমি সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে দায়ী করছি না। এখানে অনেক সৎ অফিসার রয়েছেন। কিন্তু এরূপ হত্যাকারী কর্মকর্তা এবং একজন নারীকে সামাজিক মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপনকারী অসুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন কিছু পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনা হলে, এই কলঙ্কের দায়ভার জাতি সম্পূর্ণ বাহিনীর উপর ন্যস্ত করবে।

শিপ্রা দেবনাথ আরো বলেন, একজন মানুষ হত্যাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমার টুঁটি চেপে ধরে আমাকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিলে লাখো তরুণ-তরুণী এর প্রতিশোধ নেওয়া থেকে নিশ্চয়ই বিরত থাকবে না।

এ ভিডিও বার্তা ছাড়ার একদিনের মাথায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করতে সদর থানায় যান। সেখানে মামলাটি গ্রহণ না করে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শিপ্রার আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু বলেন, ওসি বলেছেন ঘটনাস্থল সদর থানা এলাকায় নয় তাই মামলাটি এ থানায় নথিভুক্ত করা যাবে না। ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো রামু এলাকায় খোয়া গিয়ে থাকলে সে থানায় গিয়ে মামলা করা যাবে বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি চাইলে বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলাটি করা যায়।

এর জবাবে শিপ্রা ওসিকে জানায়, পুলিশের মামলায় জামিন পাবার পর থেকে তার বসবাস সৈকত এলাকার জলতরঙ্গ রিসোর্টে। তা সদর থানার আওতায়। এ কারণে তিনি সদর থানায় মামলা করতে এসেছেন। এরপরও ওসি মামলাটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে সদর থানার ওসি মো. খায়রুজ্জামান ও ওসি (তদন্ত) মাসুম খান দুজনের সরকারী মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। উভয়ের মুঠোফোনে রিং হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

 


Top