আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আনসার বাহিনীর ধানের চারা বিতরণ       ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া    
 


সালিশে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক :

প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে সালিশ করতে গিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ে করার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। আলোচিত ওই ঘটনায় চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরই মধ্যে ওই কিশোরীও তাকে তালাক দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী। তিনি জানিয়েছেন, নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করার কারণে এই তাকে (ইউপি চেয়ারম্যান) সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহীন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন।

কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

জানা গেছে, প্রেম করে ওই কিশোরী এক কিশোরের সঙ্গে পালিয়ে যাবার কারণে সালিশে বসেন কিশোরীর বাবা। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান সালিশী হিসেবে যান। সেখানে গিয়ে কিশোরীকে পছন্দ হয়ে যায় ৬০ বছর বয়সী ওই চেয়ারম্যানের। পরে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে কিশোরীকে বিয়ে করেন তিনি।

সালিশে গিয়ে বয়স্ক চেয়ারম্যানের বিয়ের খবর গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে বিষয়টি আমলে নেন হাইকোর্ট। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কি না তা তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে ‘বাল্য বিবাহ’ ঘটেছে কি না তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর পুরো ঘটনায় ফৌজদারী অপরাধ ঘটেছে কি না তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছেন আদালত।

তবে ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিলে ওই কিশোরীকে সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। এরই মধ্যে আবার হারালেন চেয়ারম্যান পদও। তবে গণমাধ্যারে কাছে তিনি দাবি করেছেন, বিয়ে করার ক্ষেত্রে তিনি প্রথম স্ত্রী এবং ওই কিশোরী ও তার অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েছিলেন।


Top