আজ || বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন বিএনপি বাহরাইন কেন্দ্রীয় কমিটি       ফেনীতে ঈদে আজম এর আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ       ফেনীর দাগনভূঞায় সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সেমিনার       ফেনীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ জনির অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার       ফেনীর দাগনভূঞায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ       ফেনীতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত       ফেনী ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন       বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারির সাথে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক       বাহরাইনসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পেল ইসি    
 


শেষ পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে

অনলাইন ডেস্ক :

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রপ্তানিমুখী পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা কারখানা খোলা রাখার অনুরোধ জানালেও সরকার তা মেনে নেয়নি। করোনা সংক্রমণ কমাতে এবার সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এতে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব পোশাক কারখানা বন্ধ থাকছে।

এদিকে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখায় বিদেশি ক্রেতারা হাত ছাড়া হয়ে যাবে। একইসঙ্গে তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। আগামীতে আরও অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়ে যাবে। এতে নানাভাবে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করছেন তারা।

অন্যদিকে শ্রমিকনেতারা বলছেন, কারখানা বন্ধের অজুহাতে শ্রমিকের জুলাই মাসের বেতন কম দেয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেন কারখানার মালিকরা। সে রকম কিছু ঘটলে সরকারের হস্তক্ষেপ লাগবে।

করোনা সংক্রমণ কমাতে চলতি বছরের এপ্রিলে কঠোর লকডাউন জারি করা হলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই। গতকাল শুক্রবার ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ আগের চেয়ে কঠোর হবে। মাঠে থাকবে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিস আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। এ পর্যন্ত যত সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই চলবে। যেহেতু মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে আসার, আগে অফিস আদালতে যেতে হতো, গার্মেন্টস কারখানায় যেতে হতো, এবার তা হবে না। তাই গতবারের চেয়েও বিধিনিষেধ কঠোর থাকবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কারখানা খোলার অনুমতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা অনুরোধ করেই যাবো- যাতে কারখানা খুলে দেয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের শ্রম অঞ্চলে আসার ব্যবস্থা করা দরকার। এতে শ্রমিকদের টিকা কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাবে। তৈরি পোশাকখাত করোনামুক্ত ও নিরাপদ থাকবে।


Top