আজ || বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


বিচারকাজে প্রযুক্তির ব্যবহার মামলাজট কমাবে: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

অনলাইন ডেস্ক :

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এমন জায়গায় যাবে যে জুডিশিয়ারিতে কোনো পেন্ডিং মামলা থাকবে না। কিন্তু এ প্রযুক্তির সৎ ব্যবহার করতে হবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বললেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যখনই আমাদের ডিজিটাল কোর্টের প্রবর্তন হলো, আমার এখনো খেয়াল আছে ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম আমরা বিচারকরা ১০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে দেয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে টাকা দিয়ে বললাম, আদালতের (কোর্ট) কার্যক্রম তো চলছে না। সারা পৃথিবীতে কোর্ট চলছে। বাংলাদেশে শুধু কোর্ট চলছে না। তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন ভার্চুয়াল কোর্ট করেন।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টের আইন করা যে কতো কঠিন, সেই আইন আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করেছি। এজন্য আমি আইনমন্ত্রী, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ দিবো।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে বিচারবিভাগ পৃথক হয়েছে। এখনো সব জায়গায় ভবন হয়নি। আমরা বিচারক দু-তিন গুণ করবো। তাদের কোথায় বসাবো। একমাত্র ভার্চুয়াল কোর্ট যদি প্রবর্তন করা যায় তাহলে বিচারকের বাসায় থেকে আদালতের কাজ চলবে। এজন্য আইনজীবীদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাহলে অচিরেই আমরা মামলারজট থেকে মুক্তি পেতে পারবো। তাছাড়া মামলার জট থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন ব্যাপার। যেমন- এফিডেভিট সেকশনে আসতে হয়, চেষ্টা করা হবে আইনজীবীর চেম্বারে আইনজীবী এনআইডির সঙ্গে সমন্বয় করে যদি করা যায় তাহলে এফিডেভিট সেকশনে আসতে হবে না।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, এর ফলে ২৪ ঘণ্টা ফাইল করা যাবে। ভারতে ২৪ ঘণ্টা ফাইল করা যাচ্ছে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে আমার যে উত্তরসূরি আসবেন তিনি যদি এটা করেন তাহলে বিচার বিভাগে একটা বিপ্লব ঘটবে। শুধু তাই নয়, এখন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স যে জায়গায় যাচ্ছে, শুধু মুখে কথা বলবেন লেখা হয়ে যাবে, কষ্ট অনেক কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এমন জায়গায় যাবে যে জুডিশিয়ারিতে কোনো পেন্ডিং মামলা থাকবে না। কিন্তু এ প্রযুক্তির সৎ ব্যবহার করতে হবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমার পরে যারা এ দায়িত্বে আসবেন, আশা করবো তারা এ কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

 


Top