আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


আ.লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ ‘পুতুল সরকার’ হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবসে বুধবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কিছুক্ষণ আগে একজন বিজ্ঞ আলোচক বলেছেন যে, পুতুল সরকার। এটা (আওয়ামী লীগ সরকার) আধিপাত্যবাদের পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা শুধু তাদেরই এজেন্ডা এখানে বাস্তবায়িত করছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা-এটাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য-লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই একসাথে কাজ করি।’

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী একজন ক্যারিজমেটিক লিডার। তিনি তো ছিলেন হ্যামিলনের বংশীবাধক। লন্ডন থেকে এলেন, রোহিঙ্গারা এসে গেছে তখন। আমরা তাকে বললাম আপনার একবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করা দরকার। তিনি রাজি হলেন। আমরা কক্সবাজারে গেলাম। পথে পথে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাওয়ার সময়ে এবং ফেরার সময়েও। আমাদের নেত্রীকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে যে মানুষের তার সঙ্গে আছে, এখনো আছে। আমার বিশ্বাস এই মানুষগুলোকে সংগঠিত করে আমরা যদি রাজপথে নামতে পারি, আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই গণতন্ত্রবিরোধী সরাতে পারব।’

বিএনপি বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা শুরু হলো। আমাদের দে্শে ২/৩টা প্রখ্যাত পত্রিকা তারা একই সুরে কথা বলতে শুরু করলো। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করলাম যে, বেশ কয়েকটি দেশের ডিমপ্লোমেটরা টুইজডে ক্লাব বলে একটি ক্লাব তৈরি করলো। সেই ক্লাবে আবার একটা আন্দোলন শুরু হলো মিলিতভাবে যে যোগ্য প্রার্থীর.. । সবই একই সূত্রে গাঁথা ছিল যে, বিএনপি যেহেতু বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, স্বাধীন সার্বভৌম স্বতন্ত্র অবস্থানে আছে। এই সরকার যদি থাকে এদের প্রতিনিধিরা যদি সংসদে আসে তাহলে তাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য এখানে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারই ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি, তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন নাটক তৈরি করেছে, বিভিন্নভাবে আমাদের এখানে ১/১১‘র সেনা সমর্থিত সরকার তৈরি হয়েছে, তার পরে দেখি যে, দুই বছর সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে সরকার নিয়ে গেছে এবং তারপরে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে যে নির্বাচনটা ছিলো ষড়যন্ত্রমূলক। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একবারের জন্যও মাথা নুয়াননি।’

১/১১‘র সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে এই দিবসটি বিএনপি কারাবন্দি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।

লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১/১১ ‘র সরকার দেশে বিরাজনীতিকরণের জন্য এসেছিল। দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা ও মাইনাস টুয়ের নামে মাইনাস ওয়ান অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাই তাদের উদ্দেশ্য। আজকে যারা ক্ষমতায় তারা সেই ধারা্বাহিকতার সরকার। মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার যেমনিভাবে গায়ের জোরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় ছিল, আজকের সরকারও গায়ের জোরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে এবং একই কাজ করে যাচ্ছে।’

এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে দলকে সংগঠিত করে রাজপথে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই সরকারের ভিত্তি হচ্ছে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে। আপনারা যদি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেন তাহলে দেখবেন যে, মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের একই ধারাবাহিকতায় আজকে এই সরকার চলছে। এখন যেটা আমাদের করতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ মুক্তি করতে হবে। অর্থাৎ উনার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি, উনার মুক্তির সঙ্গে দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি একবারে ওৎপ্রোতভাবেই জড়িত হয়ে গেছে এখন। আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে একসঙ্গে একেবারে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কাজ করি, আমাদের নেত্রীর ব্যবস্থা করি, গণতন্ত্রের মুক্তির ব্যবস্থা করি।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখনো আমাদের মধ্যে আমি দলের কথা বলছি না, আমি বলছি যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো অনেক বেঈমান রয়ে গেছে যারা শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে টিকে থাকতে সাহায্য করছে। শুধুমাত্র সরকারের সংস্থা নয়। আমাদের সেদিকেও একটু খেয়াল রাখতে হবে। দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত করে আমরা আন্দোলনে যাবো। কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আন্দোলন ছাড়া সরানো যাবে না, দলকে সুগঠিত করার প্রয়োজন রয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দেন।

 


Top