আজ || শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত       বাহরাইন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (LMRA) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের ফ্যামিলি মাইক্রোফাইন্যান্স হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       বাহরাইনের বিচার, ইসলামী ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ক্ষমতার প্রভাবে শিক্ষকতা না করেও ১৫বছর যাবত স্কুলের বেতন উত্তোলন করেন রাবেয়া আক্তার রাবু       বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব       নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার আয়োজনে নবমী পূজা পালিত       বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী জেলার উদ্যোগে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত    
 


গায়েবি মামলায় কোমরে রশি বেঁধে সাংবাদিককে নেওয়া হলো আদালতে!

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে পুলিশের দেয়া গায়েবি মামলায় এসএম ইউসুফ আলী নামে এক সাংবাদিককে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা হয়। এ নিয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।

আদালত সূত্র জানায়, ইউসুফ আলীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তার ইউসুফ দৈনিক অধিকার এর ফেনী ব্যুরো চিফ ও অনলাইন পোর্টাল ফেনী রিপোর্ট-এর সম্পাদক এবং দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তার মামলার কৌসুলী এম, শাহজাহান সাজু জানান, ইউসুফ আলী ২০১৯ সালের আলোচিত নুসরাত হত্যাকাণ্ডের কর্তব্যে অবহেলার দায়ে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের রোষানলের শিকার। ওইসময়ে গণমাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম ব্যাপক সমালোচিত হয়ে ফেনী থেকে প্রত্যাহার হয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে অদ্যাবধি সংযুক্ত রয়েছেন। ফেনী থেকে যাওয়ার আগে তিনি জেদ মিটাতে ৪ জন সাংবাদিককে জেলার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলার চার্জশিটে যুক্ত করে দেন। এসব মামলার এজাহারে তাদের কারোই নাম ছিল না। পরবর্তীতে সবকটি মামলায় তারা জামিন লাভ করে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। ছাগলনাইয়া থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় ভুলক্রমে হাজিরা দিতে না পারায় ইউসুফ আলীর জামিন বাতিল হয়। পুলিশ সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে ইউসুফ আলীর গ্রেপ্তারের খবরে ফেনীতে গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুরে দাগনভূঞাঁ থানা পুলিশ তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসলে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানায়।

সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে এভাবে ধরে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা ন্যক্কারজনক। এটা সাংবাদিকতা পেশার প্রতি অবজ্ঞার বহি:প্রকাশ।
মো. জসিম মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণির অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন।
সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ফেনী শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট লক্ষণ বণিক বলেন, ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশে সাংবাদিকদেরকে মামলায় জড়িয়েছেন। একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে এভাবে অপদস্ত করা কোনোভাবেই আইনসম্মত নয়।
সাংবাদিক ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে রশি বেঁধে আদালতে প্রেরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞাঁ থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, কোমরে রশি বেঁধে আনার বিষয়টি তার অগোচরে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়মানুযায়ী গ্রেপ্তার সাংবাদিককে আদালতে পাঠিয়েছে বলে তিনি জানান।


Top