বাহরাইনের শেখ আলী বিন মুহাম্মদ আল খলিফা স্টেডিয়ামে ভুটানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
পিয়াস আহমেদ নোভার গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের দল,
টানটান উত্তেজনার ম্যাচটা ড্রতেই শেষ হবে এমনটা যখন মনে হচ্ছিল, তখনই আশার আলো হয়ে আসেন আশরাফুল হক আসিফ। নির্ধারিত সময় শেষের দুই মিনিট আগে গোল করে ভুটানের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করেন এই ফরোয়ার্ড,
এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইয়ারে সোমবার বাহরাইনের শেখ আলী বিন মুহাম্মদ আল খলিফা স্টেডিয়ামে ভুটানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২০ দল,
শক্তিশালী বাহরাইনক রুখে দিয়ে শুরুতেই বাজিমাত করেছিল বাংলাদশ। এবার ভুটানকে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’এর শীর্ষে উঠে এলো লাল-সবুজ যুবারা,
আগের ম্যাচে স্বাগতিক বাহরাইনকে রুখে দেয়া আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল এ ম্যাচের শুরুটা করেছে আক্রমণাত্মক ঢংয়ে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাম প্রান্ত থেকে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন মইনুল ইসলাম। কিন্তু বল গোল মুখে রাখতে পারেননি ১০ নম্বর জার্সিধারী ফরোয়ার্ড,
১৭ তম মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ভুটানের। কিন্তু সতীর্থের বাড়ানো বলে হেড করতে ব্যর্থ হন রিনশেন। ২৫তম মিনিটে সহজ সুযোগ আসে বাংলাদেশের। তবে পিয়াস আহমেদ নোভার হেড সহজেই ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক,
৩২তম মিনিটে নোভার গোলেই কাঙ্ক্ষিত লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এ গোলে বল যোগানদাতার ভূমিকাটা ঠিকঠাক পালন করেছেন রাজন হাওলাদার। ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে লাল-সবুজের দল,
১ গোলে পিছিয়ে থাকা ভুটান দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায়। আগ্রাসী মনোভাবের ফলাফলও এসেছে দ্রুতই পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। ৬০ তম মিনিটে সান্টা কুমার লিম্বোর গোলে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে ভুটান,
সমতায় ফেরার পর আবারও গোলের জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সুযোগ এসেছিল ৭৪ মিনিটে। কিন্তু গোলমুখে নেয়া রাজনের শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তবে হাল ছাড়েননি নোভা-রাজনরা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষ রক্ষণে ছড়াতে থাকেন ভীতি। শেষমেষ সফলতাও এসেছে। ৮৯ তম মিনিটে আসিফের গোলে জয় নিশ্চিত হয় লাল-সবুজদের। শাহিন আহমেদের কর্ণার থেকে পাওয়া বল জালে জড়াতে ভুল করেননি ৮ নম্বর জার্সিধারী এ ফুটবলার। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।