আজ || শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  ফেনীর দাগনভূইয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০       দাগনভূঁইয়ার প্রত্যেক বাজারের, দায়িত্বশীলদের ওসি মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের অনুরোধ       চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে, দাগনভূঁইয়া থানার ওসি লুৎফর রহমান       শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাহরাইনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ       দুই উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে ফেনীতে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ       ফেনীতে জুমার নামাজ পড়ালেন কাবা শরীফের সাবেক ইমাম শায়েখ ড. হাসান বোখারী       ১৭ বছর পর কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর       চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ স্থগিত করেছে বিএসএফ       পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুসংবাদ দিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ    
 


করোনা ভ্যাকসিন: ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছে বেক্সিমকো

করোনা ভ্যাকসিন: ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছে বেক্সিমকো

দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (এসআইআই) সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে। ইতিমধ্যে দুই কোম্পানির মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার বেক্সিমকো জানায়, ভ্যাকসিনটি যখন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাবে তখন যেসব দেশ সবার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করবে এসআইআই।

এসআইআইর উৎপাদন সক্ষমতা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পূর্ববর্তী অঙ্গীকারের ওপর নির্ভর করবে বেক্সিমকোর বিনিয়োগের পরিমাণ এবং বাংলাদেশের জন্য এসআইআইয়ের অগ্রাধিকারমূলক ভ্যাকসিন সরবরাহের পরিমাণ।

বেক্সিমো জানায়, বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন নিশ্চিতের ব্যবস্থাও করবে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ সরকার ও এসআইআইর মধ্যে সম্মত হওয়া মূল্যে অগ্রাধিকারমূলক সরবরাহের জন্য চাহিদামাফিক ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তাব দেয়া হবে সরকারকে। এছাড়া বাংলাদেশের বেসরকারি বাজারের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করবে বেক্সিমকো।

এসআইআইর মালিক ও প্রধান নির্বাহী আদর সি পুনাওয়ালা ও বেক্সিমকোর প্রিন্সিপ্যাল শায়ান এফ রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক এই ভ্যাকসিন যেসব মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় ফার্মা কোম্পানি একসঙ্গে কাজ করায় আমরা আনন্দিত। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার যেই গভীর সদিচ্ছা, তারই প্রতিফলন হিসেবে এই চুক্তি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তাদের ভাষ্য, দুই জাতির প্রতিনিধি হিসেবে একসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে অনেকদূর যেতে পারবে।

অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন (এজেডডি১২২২) হলো অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টরভিত্তিক ভ্যাকসিন। বর্তমানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতে বৃহৎ আকারে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে। যুক্তরাজ্যে ট্রায়াল চলমান ও ট্রায়াল থেকে খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে।

এসআইআই ইতিমধ্যেই বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য এই ভ্যাকসিনের ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যে অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে আংশীদারিত্বে পৌঁছেছে।

‘এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন’

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বিবিসি বাংলাকে জানান, ভ্যাকসিনের খরচ এবং কত দ্রুত এটি পাওয়া যাবে, এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারা সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন এই বছরের শেষভাগের মধ্যেই প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বিশ্ব বাজারে এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলে প্রথম দিক থেকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।’

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই ভ্যাকসিন তৈরিতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বলে জানান রাব্বুর রেজা। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বিশ্বে ৬৭০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন বুক করা হয়ে গেছে। তাই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য ট্রায়ালগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা আর ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা বাড়ানো, এই দু’টি জিনিস প্রয়োজন।’

রাব্বুর রেজা বলেন, ‘আমরা যে তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছি, বিষয়টা সে রকম নয়। সেরাম ইনস্টিটিউট যেন কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে, সেই লক্ষ্যে বেক্সিমকো তাদের সহায়তা করছে।’

সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের জন্য কত খরচ করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও রাব্বুর রেজা জানান যে, এই ভ্যাকসিন বিশ্বের ‘সবচেয়ে সস্তা’ ভ্যাকসিনগুলোর একটি হবে।

তিনি বলেন, ‘কী পরিমাণ ভ্যাকসিন নেয়া হবে, তার ওপর ভ্যাকসিনের দাম অনেকাংশে নির্ভর করছে। আমরা এরই মধ্যে সরকারের সাথেও আলোচনা শুরু করেছি। আমরা চাইবো যত কম খরচে সম্ভব, এই ভ্যাকসিন যেন মানুষকে দেয়া যায়। সেরাম ইনস্টিটিউট আমাদের নিশ্চিত করেছে যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে।


Top