আন্তর্জাতিক
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণ করতে সহযোগিতা করার কথাও বলেন তারা।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইসরায়েল ও গাজার শাসক হামাসের প্রতি যুদ্ধবিরতি ঠিকভাবে পালনের জোর আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ফিলিস্তিনিদের সহায়তা ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে একটি পুনর্নির্মাণ তহবিল গঠনে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
যুদ্ধ-বিরতি প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের উচিৎ শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংঘাতের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করা। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমান্ত ধরে দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতিসংঘ।
বিশ্লেষকরা মনে করছে, এ যুদ্ধ-বিরতির মাধ্যমে কিছু সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এ সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ও নিরবিচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক কিছু করার আছে। এছাড়াও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বাইডেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখার জন্য মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসিরও প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী রাখতে এবং বারবার সংঘাত ও নিহতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার কাজ করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টায় সমর্থন দেবে ব্রিটেন।
এদিকে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপিকে হামাসের একজন নেতা আলি বারাকেহ বলেন, এ যুদ্ধ-বিরতি নেতানিয়াহুর জন্য পরাজয় আর ফিলিস্তিনি জনগণের জয়।
অপরদিকে একে নিজেদের বিশাল সাফল্য দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নেতাদের হত্যা ও অবকাঠামো ধ্বংসের মাধ্যমে বিশাল সাফল্য লাভের পর এ যুদ্ধ-বিরতি মেনে নিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা এগারো দিনের রক্তক্ষয়ী আক্রমণে নিহত হয়েছে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি। আর ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলায় নিহত হয়েছে ১২ ইসরায়েলি।