আজ || বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
  বাহরাইনে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন দৃর করার লক্ষে মিলন মেলা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত       ডিআইজি মোঃ মনিরুজ্জামান কে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেন নবীনগর সমাজ কল্যাণ ঐক্য পরিষদ বাহরাইন       পবিএ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাহরাইন শাখার উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুুষ্ঠিত       বাহরাইনে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা       বৃহত্তর কুমিল্লার নামে বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশের আয়োজন করেন কুমিল্লা প্রবাসী কল্যান ফোরাম বাহরাইন       বাহরাইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন “হুইল ব্যালেন্স অটো সার্ভিস” এর শুভ উদ্বোধন       বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার উদ্যোগে মহানবমী পূজা পালিত,পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়োর       গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আবদুল আউয়াল মিন্টু       বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বাহরাইন গুদাবিয়া শাখার উদ্যোগে আলোচনায় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঞায় ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ    
 


মারা গেলেন কিংবদন্তী সুরকার-গায়ক বাপ্পী লাহিড়ী

অনলাইন ডেস্ক :

সংগীত জগতে আরও এক নক্ষত্রের পতন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার পর মারা গেছেন বর্ষীয়ান সুরকার-গায়ক বাপ্পী লাহিড়ী। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জি২৪, সংবাদ প্রতিদিন

আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৬৯ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। গত বছর তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। যদিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন  তিনি।

পিটিআইকে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ দীপক নামজোশি জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনির কথা।  তিনি জানান, বাপ্পি লাহিড়ি গত এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সোমবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তার একাধিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ছিল তাঁর। মধ্যরাতের কিছু আগে ওএসএ (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া) এর কারণে তিনি মারা যান।

বাপ্পী লাহিড়ী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম আলোকেশ বাপ্পী লাহিড়ী। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন একজন বাংলা সঙ্গীতের জনপ্রিয় গায়ক। মা বাঁশরী লাহিড়ীও ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়িকা, যিনি শাস্ত্রীয় ঘরাণার সঙ্গীত এবং শ্যামা সঙ্গীতে বিশেষ পারঙ্গমতা দেখিয়েছিলেন। তাদের পরিবারেরই একমাত্র সন্তান বাপ্পী লাহিড়ি।

তিন বছর বয়সেই তবলা বাজাতে শুরু করেন। তার মায়ের আত্মীয় হিসেবে ছিলেন – বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার এবং এস. মুখার্জী। পিতা-মাতার সান্নিধ্যে থেকেই তিনি সঙ্গীতকলায় হাতে খড়ি ও প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি ১৯ বছর বয়সে দাদু (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন

বাপ্পী লাহিড়ী ১৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত হন। ১৯৭৩ সালে হিন্দী ভাষায় নির্মিত নানহা শিকারী ছবিতে তিনি প্রথম গীত রচনা করেন। এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এতে তিনি গীত রচনাসহ গায়কের দ্বৈত ভূমিকায় অংশ নেন। অসম্ভব কিছু নয় শিরোনামে মোহাম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের সঙ্গেও দ্বৈত সঙ্গীতে অংশ নেন। তার পরের চলচ্চিত্র হিসেবে চালতে চালতে ছবিটির গানও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রবিকান্ত নাগাইচের সুরক্ষা ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।

মিঠুন চক্রবর্তীর ডিস্কো নাচের চলচ্চিত্রগুলোতে তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮০’র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পী ল্যাহড়ী একসাথে বেশ কিছু ভারতীয় ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ ভারত থেকে পরিচালিত অনেক হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে অংশ নিয়েছেন। সমগ্র ভারতবর্ষে তিনি নিজেকে ‘ডিস্কো কিং’ নামে পরিচিতি লাভে সমর্থ হন।

বাপ্পী ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে ১৯৯০’র দশকে দূরে সরে যান। প্রকাশ মেহরা’র ‘দালাল’ ছবিতে স্বল্প সময়ের জন্য ফিরে আসেন।


Top