আজ || রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
  পবিএ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাহরাইন শাখার উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুুষ্ঠিত       বাহরাইনে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা       বৃহত্তর কুমিল্লার নামে বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশের আয়োজন করেন কুমিল্লা প্রবাসী কল্যান ফোরাম বাহরাইন       বাহরাইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন “হুইল ব্যালেন্স অটো সার্ভিস” এর শুভ উদ্বোধন       বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার উদ্যোগে মহানবমী পূজা পালিত,পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়োর       গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আবদুল আউয়াল মিন্টু       বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বাহরাইন গুদাবিয়া শাখার উদ্যোগে আলোচনায় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত       ফেনীর দাগনভূঞায় ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ       ফেনীর দাগনভূঞায় যুবদলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা       ফেনীর দাগনভূঞায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা    
 


বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে বিহার-ওড়িশাও রেহাই পাবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বিহার-ওড়িশাও রেহাই পাবে না বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইস্যুতে সরগরম গোটা বিশ্ব। ভারত এবং বাংলাদেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বে সেই প্রভাব পড়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই নিয়ে নিজেদের ভূমিকা স্পষ্ট করেছে। এবার বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাৎস্যন্যায় কথাটা আমরা পড়েছি—যখন বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়—এ রকম অবস্থা হয়ে গেছে (বাংলাদেশে), একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা (ঝামেলা) হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।’

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান যে, ‘সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারুক।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সবকিছুর পরেও তিনি চান বাংলাদেশ তার কঠিন সময় অতিক্রম করুক।

মমতা বলেন, ‘বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সাধারণ ভাষা এবং সংস্কৃতি শেয়ার করে। ভৌগোলিক সীমারেখা আছে, কিন্তু হৃদয়ের কোনো সীমানা নেই। বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যা-ই থাকুক না কেন, প্রতিশোধ নেওয়ার এই কথাবার্তা সত্ত্বেও আমি চাই সবাই ভালো থাকুক।’

ভারতের প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা কি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে কথা বলি না। এটা আমার ভারত।’ এর আগে, গত সপ্তাহের শুরুতে মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর এবং ‘নির্যাতিত ভারতীয়দের’ সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন।


Top