আজ || শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত       বাহরাইন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (LMRA) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের ফ্যামিলি মাইক্রোফাইন্যান্স হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       বাহরাইনের বিচার, ইসলামী ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ক্ষমতার প্রভাবে শিক্ষকতা না করেও ১৫বছর যাবত স্কুলের বেতন উত্তোলন করেন রাবেয়া আক্তার রাবু       বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব       নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার আয়োজনে নবমী পূজা পালিত       বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী জেলার উদ্যোগে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত    
 


নিজ ভূমে,ভীম রোতি! অনেক প্রদীপ,আমি অন্ধ বাতি: ইমাউল হক পিপিএম

অনলাইন ডেস্ক :

সব না কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেরানী ধরলে কাজ হয়,স্যার ধরলে কষ্ট হয় । স্যারদের তো দুই/ তিন বছর পর পর বদলি হয় ।কিন্ত তথাকথিত বড় বাবুদের বদলি তো হয়ই না বরং দক্ষতার কারনে ঐ অফিসেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়।তারাই তো আদেশ লেখে,নোটসিট লেখে,ডকুমেন্ট সামারি করে ,অর্ডার পাস করে।কিছু কিছু স্যার তো শুধুই সই করে।

বেশি লেখা পড়া করা ভুল হয়ে গেছে।এখন কি করি!কেউ কম লেখা পড়া করলে বৃদ্ধ বয়সেও এস এস সি পরীক্ষা দিতে পারে ।বেশী জ্ঞান অর্জন করা যায়।কিন্ত কেউ যদি জ্ঞান কমাতে বা লেখা পড়া কমাতে চায় তার পথ কি?

গুটি কয়েক অফিসে গেছি, সে সব অফিসে কারনিক,হেড এ্যাসিস্টেন্ট, সব কাজ করে ।তাদের স্যার না বললে দাঁড়িয়ে রাখে।মজার ব্যাপার হলো অনেক সংস্থার অফিসে যার বরাবরে একটি আবেদন করা হয় তিনিই দেখেন না, পড়েন না বা জানেন না।””কেরানী ই বলে স্যার এই করতে হবে,আমিই তো ত্রিশ বছর হলো এভাবেই করে দিচ্ছি।”আবেদন কারী বলে দেয় আপনি বেশী বুঝলে স্যারের কাছে যান।কোন কোন স্যারের কাজে গেলে তিনি আবার বলে দেন ভদ্রর বাবু(কেরানী )যা বলছে সেটাই ঠিক। ও ভাবেই করেন ।অযথাই আমার কাছে আসছেন কেন?

কেরানী ধরলে কাজ হয়,স্যার ধরলে কষ্ট হয় । স্যারদের তো দুই/ তিন বছর পর পর বদলি হয় ।কিন্ত তথাকথিত বড় বাবুদের বদলি তো হয়ই না বরং দক্ষতার কারনে ঐ অফিসেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়।তারাই তো আদেশ লেখে,নোটসিট লেখে,ডকুমেন্ট সামারি করে ,অর্ডার পাস করে।কিছু কিছু স্যার তো শুধুই সই করে।

কোন কোন অফিসে তো অফিস সহকারী’ র অভিজ্ঞতার কারনে বাবার অবর্তমানে ছেলেও আজীবন নিয়োগ পায়।
তাই কেরানী হওয়া অনেক সময়ই ভাগ্যের ব্যাপার। আবার বেশী শিক্ষিত হয়ে অফিসার হলেও তেমন কিছুই হবে না।

তাই তো হারান বাবু(কাল্পনিক নাম)বলেছেন দেখ ব্রজেন(কেরানী) ভোদ্রত্যা বোজায় রাখিস বাপু!আমি কিন্ত অফিসের বস !তোয় বেশী খস খস করিসনে ভাই,
তোর তো বদলি নেইরে, আমার তো আগামী মাসে যেতে হবে।

আপনি একবার ভেবে দেখেন তো জীবনে যার বরাবরে আবেদন, দরখাস্ত বা ঘটনা লিখেছেন,সেই ব্যাক্তি কি পড়েছে বা পড়ে আপনাকে উওর বলেছে?
না বলেছে আমার অফিস সহকারীর সাথে যোগাযোগ করুন, আমি বলে দিয়েছি??

বেশীরভাগ সময়ই লিখেন অমুক দেখুন, তমক ব্যাবস্হা নিন,রিপোর্ট দিন।এই সেই। আর এসব যারা দেখে ,যারা পরামর্শ দেন তাদের জ্ঞান দক্ষতা কত?অফিস প্রধানের নীচে না উপরে?

ভেবে দেখুন আমার/আপনার এই সমস্যা আছে কিনা। আপনি কোন দরকার এ কোথাও গেলে তারা মনে করে আপনি কিছুই জানেন না একই পেশার লোক অন্য অফিসে গেলে পরিচয় না দিলে আপনাকেও ক্লায়েন্ট মনে করবে।সব জায়গাতেই জ্ঞান দেওয়ার লোক।কাজ করার লোকের অভাব। কোন অফিসে গেলেই অফিস সহকারীর বয়ান।ঘটিরামের ঘটি কোথায় যায় কারো কোন খেয়াল নেই। তাই বিড়ম্বনা র পিওন ও সুযোগ পেলে বলে বসে ওরে বুবু সরে দাঁড়া আসছে আমার পাগলা ঘোড়া কিন্ত জ্ঞানালোকের জ্ঞানেন্দ্র তো কেরানীর জোড়ে বিষু বাবুর(নাম গুলি সবই কাল্পনিক) পকেটে

তাই ধর তার শ্রী চরন, নহ পবনের স্বরন কার চরন কে ধরে ।নিজে না ধরলে কে ধরিবে আপনার হাল।

লেখক-
ইমাউল হক পিপিএম ইনটেলিজেন্স ইন্সপেক্টর
১৪ এপিবিএন কক্সবাজার


Top