রাজধানীতে ভুয়া টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকা অফিসে অভিযান গ্রেফতার ২
রাজধানীতে অনুমোদনহীন দুটি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি পত্রিকা অফিসে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। প্রতিষ্ঠান তিনটি হল- নিউজ ২১ টিভি ও এবি চ্যানেল এবং সাপ্তাহিক সময়ের অপরাধ চক্র। মঙ্গলবার বিকালের এ অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতাররা হলেন- শহিদুল ইসলাম ও আমেনা খাতুন।
তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নিউজ ২১ টিভির মালিক এবং আমেনা খাতুন এবি চ্যানেল ও সাপ্তাহিক সময়ের অপরাধ চক্র পত্রিকার মালিক। নিউজ ২১ টিভির অফিস মগবাজার এবং এবি চ্যানেল ও সাপ্তাহিক সময়ের অপরাধ চক্র পত্রিকার অফিস পুরানা পল্টন।
র্যাব-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ- অনুমোদনহীন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সাইনবোর্ডে স্বাস্থ্য বিভাগ, কারিগরি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বিআইডব্লিটিএ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ অসংখ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে যখন আসল চাকরির বিজ্ঞাপন দিত তখন তারা ওই বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে তাদের সড়কের ঠিকানায় বিজ্ঞাপন দিত। তাদের দালাল চক্র আছে, ওই চক্রের মাধ্যমে তারা বেকার যুবকদের টার্গেট করত। এ রকম চাকরি দেয়ার কথা বলে তারা এক হাজার লোকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ওপরে হাতিয়ে নিয়েছে কিন্তু কোনো চাকরি দিতে পারেনি। অভিযানে দেখা যায়, তাদের অফিসের ডায়েরিতে লেখা আছে- কবে কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, তারা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিবের সিল জালিয়াতি করেছে। তারা মূলত নিয়োগটা দিত ব্রাইট অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে। কিন্তু অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। সময়ের অপরাধ চক্রের অফিস থেকেই এই প্রতারণামূলক কার্যক্রম তারা করত এবং সব ভিকটিম টাকা লেনদেন করেছে এ অফিসে। অভিযুক্তরা স্বাক্ষর সিল জালিয়াতি করেছে।
গ্রেফতার দুইজনের স্বাক্ষরে সময়ের অপরাধ চক্রের চাকরির বিজ্ঞাপনে ৫৭০ জনের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তারা দিয়েছিল সময়ের অপরাধ চক্রের সারা দেশে বিভাগ জেলা এবং উপজেলা শহরে নিয়োগ দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের জেলা-উপজেলা বিভাগে কোনো অফিস নেই। এটি মূলত প্রতারণামূলক। তারা এ চাকরির প্রজ্ঞাপন দেখিয়ে বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা থেকে বেকার যুবকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কারও কাছ থেকে তারা চার লাখ, কারও কাছ থেকে তিন লাখ কিংবা কারও কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।