সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গত দুদিন ধরে চলছে উত্তেজনা।
এ নিয়ে দুদফা পতাকা বৈঠক হয়। তবুও সুরাহা হয়নি। ফলে উভয় বাহিনীই সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ আমলে সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ড থেকে ৫০ গজ এগিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে পাঁচ- ছয় মাস আগে। সেই রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার সময় এই উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় স্থানীয়রাও ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে তারাও দিনব্যাপী সীমান্তে অবস্থান নেয়। একইভাবে ভারতীয় নাগরিকদেরও বিএসএফের সঙ্গে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইমরান খাঁনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে অবস্থান করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দীন বলেন, সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শূন্য লাইনে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিল বিএসএফ। এ সময় বাধা দেয় বিজিবি। তখন থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।
৫৯-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সোমবার সকালে ভারতের মালদা জেলার কালিয়াচক থানার সবদলপুর বিএসএফ কাম্পের সদস্যরা সীমান্ত ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সোমবার বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আবার বিএসএফের পক্ষ থেকে ওই অবৈধ রাস্তার পাশে কাঁটাতারের বেড়া নিমার্ণের কাজ শুরু করলে বিজিবি আজও বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা বাড়ে।