বাহরাইন প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালন
৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে
(৬ নভেম্বর) শুক্রবার রাত ৯ টায় দেশটির রাজধানী মানামায় বাংলাদেশ সমাজের কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মনজুর আহমদের সভাপতিত্বে
ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায়
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক লীগের সভাপতি অভিনাশ পাল।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক এ হাশেম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার সহ সভাপতি মো.আব্দুল কাদের।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার সহ সভাপতি আব্দুল ছাত্তার।
বৃহত্তর ফরিদপুর জনকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সেলিম দড়ী।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাহরাইন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কালাম দেওয়ান।
শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ।
শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দেব সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
এর আগে একই বছরের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পাঠানো হয়েছিল।
পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু-পাল্টা ক্যুর রক্তাক্ত অধ্যায়ে মানবতার শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর হন্তারক ওই একই পরাজিত শক্তির দোসর বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করে। সে থেকে প্রতিবছরের মতো এ দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং জাতির চার মহান সন্তান সহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।